বাঁধ সংস্কারে নারীরা

সাতক্ষীরা শ্যামনগর থেকে বাবলু জোয়ারদার

‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ’ এটাকে সামনে নিয়ে নদীর প্রবল ¯্রােত ও ঢেউ উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেড়িবাঁধ রক্ষায় নেমে পড়েন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন যাবত ৯নং বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দাঁতিনাখালী গ্রামের গাজী বাড়ির সামনে নদীর ভেড়ি বাঁধের অবস্থা খুব ভয়ানক।

2

স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও ইউনিয়ন পরিষদ ভেড়ি বাঁধটি সংস্কারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। যোগাযোগের ফলে রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হলেও এখনও শেষ হয়নি। ঠিক এই সময়ে উপকূলে আঘাত হানার আশংকায় থাকে ঘূর্ণিঝড় ফণি। ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে স্থানীয় নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। যার ফলে বাঁধের দূর্বল অংশ দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করবে এমন আশংকায় স্থানীয় এলাকাবাসী বাঁধ সংস্কারে নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে সে¦চ্ছাশ্রমে কাজ শুরু করেন। এরই সাথে সাথে স্থানীয় বনজীবী নারী উন্নয়ন সংগঠনের সদস্যরা বাঁধ সংস্কারে কোঁমর বেঁধে নেমে পড়েন। পিছিয়ে নেই এলাকার যুবক যুবতীরাও। তারা নেমে পড়েন নদীর বাঁধ সংস্কারে। সম্মিলিতভাবে সবার চেষ্টায় নদীর বাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

4

এই প্রসংগে সংগঠনের সভাপতি শেফালী বেগম বলেন, ‘আমাদের এখানে ভেড়ি বাঁধটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে ভেঙে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ফেনীর প্রভাবে নদীর পানি রাস্তা সমান হয়ে যায় তখন আমরা কেউ আর বাড়ি বসে থাকতে পারেনি। আমাদের জীবন আমাদের এলাকাকে বাঁচাতে নারী পুরুষ একসাথে মিলে বাঁধ রক্ষায় নেমে পড়ি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, যেন দ্রুত বাঁধ সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়।’

5

পিরামিন ইসহাক বলেন, ‘ভেড়িবাঁধের অবস্থা খারাপ দেখে সবাইকে ডেকে নিয়ে বাঁধ সুরক্ষায় নেমে পড়ি। কেউ বস্তায় মাটি ভরে কেউবা আবার তা বহন করে নিয়ে বাঁধ সুরক্ষায় সহযোগিতা করে।’ ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী জুলিয়া বলেন, ‘নদীর বাঁধ ভেঙে গেলে আমরা আর স্কুলে যেতে পারবো না। তাই বাঁধে মাটি দেওয়ার জন্য এসেছি এবং কাজ করে যাচ্ছি। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে বাঁধ সংস্কারে এগিয়ে আসি।’

happy wheels 2

Comments