আনন্দ আর উৎসবে বিজয় দিবস পালন

নাচোল চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে অনিতা বর্মণ

প্রতিবছর ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস দেশের সর্বত্র বাংলাদেশের বিশেষ দিন হিসেবে রাষ্টীয়ভাবে পালন করা হয়। র্দীঘ ৯ মাস পাক হানাদার বাহিনীদের সাথে যুদ্ধ করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়। এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যূদয় ঘটে।

এ বছর ব্যাপক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালন করেছে নাচোলের ফুলকুড়ি বিদ্যালয় ও স্বেচ্ছাসেবক দল। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় ফুলকুড়ি নবযুগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে শহীদের স্মরণে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত থেকে শুরু করে শ্রী ভগবাদ গীতা পাঠ এর মধ্য দিয়ে দিবসটির পালন শুরু হয়।

img_20161216_164957

ফুলকুড়ি নবযুগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী নিতাই চন্দ্র বর্মণ এর সভাপ্রতিত্বে অনুষ্ঠানটি শুরু করেন। অনুষ্ঠানটির প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আবু বাক্কার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন মো. আবুল কালাম আজাদ ।

এই দিবসটি পালনের মাধ্যমে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। আয়োজকদের একজন মো. ইব্রাহিম বলেন, “গ্রামের নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একে অপরের আনন্দগুলো ভাগাভাগি করার জন্যই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ।

স্বেচ্ছাসেবক দলেন সদস্য মো. নুরুল ইসলাম বলেন, “এই অনুষ্ঠানে ২৯টি খেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই খেলাগুলোর মধ্যে গ্রাম বাংলার কিছু ঐতিহ্যবাহী খেলাও আছে । যেমন: হাটে হাড়ি ভাঙ্গা, চেয়ার ফাঁকি, বালিশ ফাঁকি, সাইকেল রেশ, সুই-সুতা দৌড়, বয়স্ক দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজো ইত্যাদি।”
vic
খেলাধুলার অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে মোহা. তোসাদেক আলী (৫৫) বলেন, “আজ বিজয় দিবস। প্রতিবছর পাশ্বর্বতী গ্রাম বরেন্দায় নানান অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। আমরা সেখানে খেলা দেখতে যায়। কিন্তু এ বছর আমরা শুধু খেলা দেখিনা; খেলায় অংশগ্রহণও করেছি। আর তা সম্ভব হয়েছে এই স্বেচ্ছাসেবক দলের ছেলেদের কারণে।”

অনুষ্ঠানের সভাপতি শিক্ষক শ্রী নিতাই চন্দ্র বর্মণ বলেন, “আজকের এই আয়োজন এই গ্রামে প্রথম হয়েছে। আশা রাখছি পরবর্তী সময়ে এই আয়োজন করা হবে। আমরা আমাদের আনন্দগুলো ভাগাভাগির মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করবো। আমরা এই বিজয় দিবসকে ছড়িয়ে দেবো সকল জায়গায়-সকল প্রাণে।”

happy wheels 2