দশম শ্রেণীর ছাত্রী ইতির পালিত রাজাবাবুর দাম ২০ লাখ

আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ ॥

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের মো. খান্নুর মেয়ে ইতি আক্তার। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি গরু মোটাতাজা করার শখ তার। ১২ বছর বয়সে মানিকগঞ্জ জেলায় সবচেয়ে বড় গরু মোটাতাজাকরণ করে তাক লাগিয়ে দেয়। ওই গরুর নামকরণ করা হয়েছিল লক্ষ্মীসোনা। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সে লক্ষ্মীসোনাকে লালন-পালন করে। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার লক্ষ্মীসোনা দেখে একটি কোম্পানি ১০ লাখ মূল্য দিয়ে গরুটি কিনে নেয়।

2

এবার ইতির খামারে গিয়ে দেখা যায়, ৪০ মণ ২৬ কেজি ওজনের ফিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড় মোটাতাজাকরণ করেছে ইতি। ষাঁড়ের নাম দেওয়া হয়েছে রাজাবাবু। যার উচ্চতা ৯ ফুট ও লম্বায় ৮ ফুট। ইতি এখন মানিকগঞ্জ জেলার জাগির উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

ইতির বাবা খান্নু মিয়া জানান, তার সংসারে কোন ছেলে সন্তান নেই, তার ছয় মেয়ে। পাঁচ মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বিয়ের বাকী এখন ইতি। তিনি বলেন, “ইতি আমার লক্ষ্মী মেয়ে। মেয়ের সাথে তার মা পরিস্কার বেগম মেয়েকে সাহস যোগায়। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে সে লেখাপড়ার পাশাপাশি বাড়িতে একটি খামার করে গরু মোটাতাজাকরণ করে।”

গত কোরবানির ঈদে সে লক্ষ্মীসোনা লালন পালন করে ১০ লাখ টাকা আয় করে। এবারও সে আরেকটি গরু মোটাতাজাকরণ করে এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়ে দেয়। তার এ উৎসাহ দেখে ওই গ্রামে আরো গরু মোটাতাজাকরণ করতে অনেকেই উৎসাহ পেয়েছে বলে জানায়।

1

ইতি আক্তারের সাথে তার বাড়িতে রোববার কথা হয়। সে জানায়, ছোট বেলা থেকেই গরু মোটাতাজাকরণ করে সাবলম্বী হওয়ার শখ তার। তাই এবারও আধুনিক পদ্ধতিতে একটি গরু ঈদের জন্য প্রস্তুত করেছেন। গরুটির নাম দেওয়া হয়েছে রাজাবাবু।

কিভাবে রাজাবাবুকে প্রস্তুত করা হয়েছে জানতে চাইলে সে জানায়, ভূষি, মাল্টা, কলা, লেবু, চিড়া, নালী, কমলা, গুড়, ডালিম, ঘাস ও শুকনো খড় খাবার দেওয়া হয়েছে। তিন বছর বয়সে রাজাবাবুকে এসব খাবার দিয়ে তাকে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। প্রতিদিন ২০টি সেম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়েছে।

রাজাবাবুর দাম ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে একজন চিত্র তারকা ও একটি কোম্পানি গরুটি কেনার আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানায় ইতি।

happy wheels 2

Comments