২২তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব ও খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার

২২তম বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব ও খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার

নেত্রকোনা থেকে আওলাদ হোসেন রনি

‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক, আজ বসন্ত’ জাপানী হাইকুর এই লাইন দুটি বাংলাদেশের বসন্তের ক্ষেত্রেও সত্য। বসন্ত বাংলাদেশের ঋতুর রাজ এবং বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রকৃতির এক উদার উপহার। প্রকৃতি জ্ঞানের আঁতুর ঘর, সংস্কৃতির জননী। তাই কবিগুরু রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর রচিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতেও শোনা যায় বসন্ত বন্দনা ‘ও মা ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে, পাগল করে…।’ দার্শনিক কবি রবীন্দ্রনাথ শুধু নয় বাউল কবি প্রাকৃত জন শাহ আব্দুল করিমের গানেও বসন্তের এ ছোঁয়া একরৈখিক। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথমদিনে পয়লা ফাগুনে প্রতি বছর ‘নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ’ আয়োজন করে বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব ও খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার অনুষ্ঠানের।

27973065_599316310410911_3100139185148490994_n

নেত্রকোনা শহরের নিবেদিত সাহিত্যিক খালেকদাদ চৌধুরী ‘উত্তর আকাশ’ নামে সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে নেত্রকোনায় সাহিত্যের এক নবজীবন শুরু করেছিলেন। সে নবজীবনে প্রবীণ অনেক সাহিত্যিকের পাশাপাশি এক ঝাঁক তরুণের অংশগ্রহণে সাহিত্যের সে যুগ হয়েছিল প্রাণবন্ত। সে সময়ে ‘উত্তর আকাশ’এ আবির্ভূত তরুণ সাহিত্যিকের মধ্যে নির্মলেন্দু গুণসহ অনেকেই আজ বাংলা সাহিত্যে আলো ছড়াচ্ছেন। খালেকদাদ চৌধুরীর ‘উত্তর আকাশ’এর উত্তরাধিকারকে বহন করেই পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত হয় নেত্রকোনার সকল সাহিত্যসেবীদের উন্মুক্তদ্বার সংগঠন ‘নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজ’।

27973086_599316360410906_5418987096439987816_n
প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছর নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়াস্থ বকুলতলায় প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় ‘বসন্তকালীন সাহিত্য উৎসব ও খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার।’ সাহিত্যের নানা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রদান করা হয় খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার। এ বছর আয়োজনের ২২তম আসরে এ পুরস্কার পেয়েছেন- কবি ও কথাসাহিত্যিক খালেদ মতিন (মরণোত্তর) ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম।

নানান বয়সের মানুষের পদচারণায় বকুলতলা দিনভর ছিলো মুখর, গানে আর কবিতায় প্রাণবন্ত। অনুষ্ঠানস্থলে ছিলো ‘নেত্রকোনা পাঠচক্র’র নেত্রকোনার বিভিন্ন লেখকের বইয়ের প্রদর্শনী স্টল, নেত্রকোনার তরুণ আলোকচিত্রীদের আলোকচিত্র প্রদর্শনী।

happy wheels 2

Comments