গয়নার গ্রাম ভাকুর্তা ॥ রফতানি হচ্ছে বিদেশেও

আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ ॥

প্রতিটি ঘরের উঠোন, দরজা, ঘরের ভেতরজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অলঙ্কার তৈরির সরঞ্জাম। বেশিরভাগ বাড়ির বারান্দায় উজ্জ্বল আলোয় উঁকি দিচ্ছে আগুনের ফুলকি। পুরো গ্রামেই চলছে এ কর্মযজ্ঞ। ছেলে-বুড়ো, মা-মেয়ে-বউ সবাই ব্যস্ত গলার হার, হাতের চুড়ি, কানের দুল, ঝুমকা, চেইন, পায়েল, নূপুর তৈরিতে। রাস্তার পাশে, বাজারে বাজারে গড়ে উঠেছে গয়নার কারখানা, দোকান। এ দৃশ্য সাভারের হেমায়েতপুরের ভাকুর্তা গ্রামের। রাজধানী ঢাকার অতি সন্নিকটে অবস্থিত হলেও অবহেলিত জনপদ ছিল এই ভাকুর্তা। শিক্ষার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল। বেকার জীবনযাপন ছিল বেশিরভাগ মানুষের। এই জনপদে আজ আর কেউ বেকার নেই। ছোট-বড় নারী পুরুষ সবাই ব্যস্ত তামা ও পিতল দিয়ে গহনা তৈরিতে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঠুকঠাক শব্দে নানা প্রকার গহনা তৈরিই তাদের পেশা। সংসারে ফিরে এসেছে সচ্ছলতা। এই জনপদকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে গয়না শিল্প। এ কাজে এত মানুষ যুক্ত হওয়ার কারণ রোদ-বৃষ্টি-বাদলের মধ্যেও কাজ চলে সমানতালে। বাড়ির বউ-ঝিয়েরাও গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে করতে পারেন এ কাজ। পড়ালেখার ফাঁকে ফাঁকে যুক্ত হয় শিক্ষার্থীরা। অপরিসীম ধৈর্যের সঙ্গে একটার সঙ্গে আরেকটার সংযোগ ঘটিয়ে তা নান্দনিক গহনায় রূপ দেন কারিগর।

01

গহনার কথা মনে হলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সোনা-রুপার তৈরি নারীদের পরিধানযোগ্য বিভিন্ন গহনা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদী ছাড়াও প্রাত্যহিক জীবনেও মেয়েদের প্রয়োজন হয় গহনার। নিরাপত্তা কিংবা দামের কারণে সোনার পরিবর্তে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এমিটেশন বা সিটি গোল্ডের গহনা। বাজারে রয়েছে প্রচুর চাহিদা। ঢাকার নিউমার্কেট, আজিজ সুপার, চাঁদনীচক মার্কেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় সব বড় বড় শপিং মলের গয়না আসে ভাকুর্তা থেকে। মার্কেটগুলোতে সিটি গোল্ড বা এন্টিক নামে এসব গয়না বিক্রি হয়। শুধু দেশে নয়, এখানকার গহনার চাহিদা দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও। দেশের চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি এসব গহনা রফতানি করা হচ্ছে ভারত, ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এই শিল্পের আরও প্রসার ঘটলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে দেশের অর্থনীতিতে। এমন ধারণা অনেকের। অন্য পেশার চেয়ে তুলনামূলক আয় বেশি। তাই কারিগর, ব্যবসায়ী কিংবা শ্রমিক সবার কাছেই সমাদৃত এই কাজ।

এ ইউনিয়নের ২৭ গ্রামের ১২টিতেই ঘরে ঘরে তৈরি হয় গয়না। গয়না তৈরির গ্রামগুলো হলো ভাকুর্তা, কান্দিভাকুর্তা, হিন্দুভাকুর্তা, মোগরাকান্দা, মুশুরিখোলা, ডোমরাকান্দা, বাহের চর, ঝাউচর, লুটের চর, চুনার চর, চাপড়া ও চাইরা। এসব গ্রামের প্রায় ১০ হাজার লোক গয়না তৈরির কাজে যুক্ত। এই গয়না তৈরি করে যেমন অন্যকে সাজতে সহায়তা করছেন, তেমনি একে অবলম্বন করে নিজেদের জীবনকেও সাজাচ্ছেন এখানকার মানুষ। বছরে গড়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকার গয়না তৈরি হয় এ গ্রামে। গ্রামগুলোতে বসবাস করা মানুষদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস গহনা তৈরি করা। নারী-পুরুষ মিলে মেয়েদের গহনা তৈরি করেন। যেগুলো বিক্রি হয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

স্বর্ণ ও রৌপ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে সাভারের ভাকুর্তা বাজার ও এর আশেপাশের গ্রামগুলোতে গহনা তৈরি করা হয় তামা ও পিতল দিয়ে। প্রাথমিকভাবে এগুলো অপরিশোধিত অবস্থায় থাকে। এখান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে পরিশোধন ও রঙ করে বাজারে বিক্রি করে থাকেন। যা সিটি গোল্ড বা ইমিটেশন নামে পরিচিত। এগুলো দেখতেও যেন সোনার মত তা সবার জানা। এখানে তামার ব্যবহারটা বেশি হলেও পিতল ও দস্তা দিয়েও গহনা তৈরি করেন কারিগররা। জানা যায়, ৮০ দশকেও এই বাজারে সোনা ও রুপার গহনা তৈরি হত। কিন্তু এগুলোর দাম বাড়ার সাথে সাথে ব্যবসায়ী ও কারিগররা সোনা ও রুপার অলংকার তৈরি থেকে সরে আসেন। ৯০’র দশকে এসে ঝুঁকে পড়েন ইমিটেশনের গহনা তৈরির দিকে।

03

সরজমিন ভাকুর্তায় গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের নামেই গড়ে উঠেছে বাজার। সেখানে রয়েছে বিরাট একটি বটগাছ। সেই বটগাছ ঘেঁষে সারি সারি গহনার দোকান। কিছু পাকা, আবার কিছু আধা-পাকা, কিছু টিনের ঘর। এর মধ্যে বসে দিব্যি কাজ করছেন বিভিন্ন বয়সী কারিগর ও তাদের সহকারীরা। কারিগররা অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে তৈরি করছেন গলা, নাক, কান, পা, কোমর, মাথার বিভিন্ন ডিজাইনের গহনা। সোনার দোকানে যে সকল জিনিস থাকে তার যেন সবই রয়েছে ঘরগুলোতে। সামনে, পিছনে, দেয়ালে থরে থরে সাজানো মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের গহনা। গহনা তৈরিতে যত কাঁচামালের প্রয়োজন সবই সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। গহনা তৈরির কাঁচামাল বিক্রির দোকানের মালিক ও কারিগর অনীল রাজবংশী। তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তিন প্রজন্ম ধরে তারা এই কাজ করছেন। গ্রামের প্রায় সবার পেশা গহনা গড়া। বাজারের সকল ঘরই সাজানো-গোছানো।

আমেনা জুয়েলারি ওয়ার্কশপের মালিক মো. সাদেক মিয়া জানান, গহনা তৈরির কাজটি আগে হিন্দুরা করতেন। মুসলমানরাও এটাকে এখন পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তিনি আরও জানান, তাদের তৈরি গহনাগুলো পাইকারিদের কাছে বিক্রি করা ২০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। দাম ডিজাইন ও আকারের ওপর নির্ভর করে। যেমন গলার নেকলেস ১০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চুরি ২ শত থেকে ৩০০ টাকা জোড়া, শিতাহার ৬০০ টাকা থেকে ১১০০ টাকা, নুপুর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মাথার ঝাপটা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, হাতের মালতাশা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, খোপার কাটা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মাথার টায়রা ৩০০-৪০০ টাকা, শাড়ির মালা ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, নাকের ফুল ২০ থেকে ৩৫ টাকা, কপালের টিকলি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এসব গহনার বেশিরভাগই অপরিশোধিত অবস্থায় বিক্রি হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে পরিশোধন করে যখন মার্কেটে খুচরা বিক্রি করেন তখন এর দাম দেড় থেকে দুইগুণ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনগুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

02 (1)
ভাকুর্তা বাজারের কারিগর বেচারাম দেওরি জানান, গহনা তৈরির কাঁচামাল তামা কিনে নিয়ে আসা হয় ঢাকার কোতোয়ালি থানার তাঁতিবাজার থেকে। দাম পড়ে কেজি প্রতি ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া কিছু গহনার কাঁচামাল বগুড়া ও ভারত থেকে নিয়ে আসা হয়। নিজেদের দক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করেন কারিগররা। দিনে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করে আয় হয় ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা।

ভাকুর্তা বাজারের স্বর্ণ, রোপ্য ও ইমিটেশন ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন জানান, ভাকুর্তা বাজারের বয়স প্রায় ১৫০ বছর। এ বাজারে দোকান রয়েছে ১৩০টির মতো। আর ভাকুর্তা ইউনিয়নে কমপক্ষে ২৫০-৩০০টি দোকান। ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ এই পেশায় জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিটি পরিবারের কমপক্ষে একজন সদস্য এই পেশায় জড়িত রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় যে সব ইমিটেশন বা সিটি গোল্ডের গহনা বিক্রি হয় তার বেশিরভাগই এখানে তৈরি হয়। এছাড়া স্বল্প সংখ্যক মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, ইতালিতেও রপ্তানি করা হয়।’

দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় সব বড় বড় শপিং মল, ঢাকার নিউমার্কেট, আজিজ সুপার, চাঁদনীচকসহ সব মার্কেটেই গহনা আসে ভাকুর্তা গ্রাম থেকে। মার্কেটগুলোতে সিটি গোল্ড বা এন্টিক নামে এসব গহনা বিক্রি হয়। এ ছাড়া গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, খুলনা, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চল গয়নার বৃহত্তর বাজার। পাইকাররা এসে গয়না কিনে নিয়ে যান। শুধু দেশে নয়, এখানকার গহনার চাহিদা দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও।

স্থানীয় লোকজন জানান, ব্রিটিশ আমলেই এখানকার মানুষ গয়না তৈরিকে বিকল্প পেশা হিসেবে বেছে নেন। শুরুতে তাঁরা সোনার গয়না বানাতেন। আস্তে আস্তে রুপার গয়না গড়ার দিকে ঝোঁকেন তাঁরা। বর্তমানে তামা ও পিতলের তৈরি গয়নাই বেশি গড়ছেন। ১৯৮০ সালের পর থেকে গয়না তৈরি ও বিক্রি ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমদিকে রসময় পোদ্দার, জগন্নাথ পোদ্দার, শচীন্দ্র সরকারসহ কয়েকজন স্থানীয়ভাবে গয়না তৈরি শুরু করেন। পরে রাজেশ দাস, নিতাই দাসসহ কয়েকজন এর বাণিজ্যিক প্রসার ঘটান।

04

ভাকুর্তা সোনা, রুপা ও ইমিটেশন ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. নাজিমুদ্দীন বলেন, ‘রুপার মূল্য বৃদ্ধির ফলে এখন তারা তামা-পিতল দিয়ে কাজ করেন। সোনার আকাশছোঁয়া দামের কারণে অনেকের পক্ষে সোনার গহনা কেনা সাধ্যের বাইরে। তাই তামা-পিতলের গহনাই এখন সম্বল। সিটি গোল্ড বা এন্টিক নামে এগুলোর পরিচয়। সোনা ও রুপার উচ্চমূল্যের বাজারে তামা, দস্তা, পিতলই ভরসা। সাধারণ একটি অপরিশোধিত তামার গহনার দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, যা জিংকে ধুয়ে পরিশোধিত হয়ে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি করা যায়। ডিজাইন অনুযায়ী দাম কম-বেশি হয়।’ ভাকুর্তা বাজারের গহনার কারিগর অখিল সরকার জানান, এক সময় আমরা রূপার গহনা তৈরি করতাম। দাম বাড়ায় এর বিক্রি কমে যাচ্ছে। তাই এখন তামা আর পিতল বেশি ব্যবহার করি। ঢাকার চাঁদনীচক, নিউমার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেটসহ প্রায় সব বড় মার্কেট ও শপিংমলে ভাকুর্তার গহনা যায়।

দিনে দিনে এসব গয়নার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরুষের পাশাপাশি ভাকুর্তায় নারী সদস্যরাও সমান তালে অলঙ্কার তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। ডোমরাকান্দা গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা আক্তার, চুনারচরের স্কুুল ছাত্রী নাসিমা আক্তারসহ অনেকেই জানান, ঘর-সংসার ও পড়াশোনার পাশাপাশি তারা অলংঙ্কার তৈরি করে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন।

রাজধানীর জুয়োলারি দোকানগুলোতে ভাকুর্তায় তৈরি অলঙ্কারের চাহিদা স্বর্ণের চেয়েও বেশি। নিউমার্কেটের মোস্তফা জুয়েলার্সের মালিক আরিফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘দফায় দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ায় ব্যবসায় মন্দা চলছে। তার ওপর ৫% ভ্যাট দিতে হয়। যার ফলে স্বর্ণে লাভ খুবই কম। এ কারণে রুপা, তামা ও পিতলের অলঙ্কার বিক্রি করছি। মানুষ এসব অলঙ্কার বেশি কিনছে।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী লোকমান হোসেন বলেন, ‘আমরা একসময় ভারতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশে পণ্য রপ্তানি করতাম। কিন্তু এখন সরকার থেকে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তা ছাড়া রাস্তার অবস্থা এত খারাপ ক্রেতারা আসতে চায় না এখানে। ভাকুর্তা ঘিরে গহনার ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠলেও পেশার সঙ্গে যুক্ত লোকজন জানালেন কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা। অন্য অনেক খাতে ঋণ পাওয়া গেলেও গয়না তৈরির জন্য কোন ব্যাংক বা এনজিও প্রতিষ্ঠান ঋণ দেয় না। এর ফলে গহনা তৈরি ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত কম আয়ের মানুষজন তাদের ব্যবসার আকার বাড়াতে পারছেন না।’ তাছাড়া রাজধানীর লাগোয়া হলেও ভাকুর্তার যোগাযোগ অবস্থা ভয়াবহ রকম খারাপ। ইউনিয়নের প্রধান সড়কটির স্থানে স্থানে গর্ত। ধুলোবালির জন্য পায়ে হেঁটে পার হওয়াই দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। রাস্তার দুরবস্থায় রাজধানী ও অন্য জেলার ব্যবসায়ীদের অনেকেই প্রথমবার এসে আর আসতে চান না বলে তিনি জানান।

ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, দেশের এ রকম ঐহিত্য টিকিয়ে রাখতে সাধারণ ক্রেতার পাশাপাশি সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলকেও এগিয়ে আসতে হবে। এ শিল্পের সাথে জড়িতদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে তাদের পুঁজি বৃদ্ধি ও ব্যবসা প্রসারে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চান তিনি। এছাড়াও এ শিল্পের জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে বাজারজাত করনে সঠিক প্রচারনায় সরকারী সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

happy wheels 2