বরেন্দ্রে দিন বদলেছে কৃষকের

তানোর (রাজশাহী) থেকে মিজানুর রহমান

গত এক দশকে বরেন্দ্র খ্যাত রাজশাহীর তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষি বদলে গেছে। এখানকার কৃষির উন্নয়নে সরকারের বরাদ্দ ছাড়িয়েছে হাজার কোটি টাকা। বেড়েছে ফসল উৎপাদন, দিন বদলেছে কৃষকের।

12

এক দশকে বদলে গেছে বরেন্দ্র কৃষি গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউনিয়নের নিমঘুটু এলাকার বাসিন্দা আদুরী মার্ডি (৩০)। বছর আটেক আগেও দিন যেত তার অন্যের জমিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। এখন আদুরী এলাকার সফল কৃষাণিদের একজন। কেঁচো সার উৎপাদন ও বসতবাড়ির আশেপাশে বাগান তৈরি করে গত বছর অর্জন করেছেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক।

ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এ কৃষাণির অগ্রযাত্রায় অনুপ্রাণিত এলাকার ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষাণ-কৃষাণিরা। তাদের হাত ধরেই দিন বদলের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বরেন্দ্র কৃষি। কেবল কৃষিতেই নয়, বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও বেশ সক্রিয় আদুরী মার্ডি। এলাকার কৃষি সংক্রান্ত সব ধরনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান এ কৃষাণি।

13

দারিদ্র্য জয়ী এ নারী জানান, ২০০৯ সালের দিকে কৃষি দপ্তরের সহায়তায় তিনি শুরু করেন কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন। এর আগে ছয় মাস কৃষক মাঠস্কুলে পাঠ নেন বিভিন্ন প্রযুক্তি নিয়ে। ফলে পরের ধাপে সফলতা ধরা দেয় অনায়াসে। শুরু থেকেই তাকে সমর্থন দিচ্ছেন স্বামী কংগ্রেস টুডু। তবে আগে এলাকার লোকজন এনিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু তারাই এখন কেঁচো সার উৎপাদনে এগিয়ে আসছেন। সবজি ও ফল বাগান করছেন বসতবাড়ির আশেপাশে। নিজ সম্প্রদায়ের লোকজনের দিন বদলের অগ্রযাত্রা তাকে আশাবাদি করেছে।

এক দশকে বদলে গেছে বরেন্দ্র কৃষিবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোদাগাড়ী ও তানোর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, সবসময় তারা কৃষকদের সার্বিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। তা ছাড়া কৃষি ভিত্তিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতের উন্নয়ন হয়েছে। হাতের নাগালেই কৃষি সংক্রান্ত তথ্য ও পরামর্শ পাচ্ছেন কৃষক। গত এক দশকে এই অঞ্চলের কৃষি এগিয়েছে অনেকদূর।

happy wheels 2

Comments