সাম্প্রতিক পোস্ট

নারীরা আজ কোন কিছুতেই পিছিয়ে নেই

মানিকগঞ্জ থেকে রাশেদা আক্তার
‘প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার’ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে ধলেশ্বরী নারী সংগঠনের আয়োজনে এবং বারসিক’র সহযোগিতায় সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের মেঘশিমুল গ্রামে পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২০। দিবসকে কেন্দ্র করে কিশোরীদের অংশগ্রহণে ফুটবল প্রতিযোগিতা, নারীদের অংশগ্রহণে মিউজিক্যাল চেয়ার ও পাতিল ভাঙ্গা খেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


সকাল ১০.৩০ মি. ধলেশ^রী ব্রীজ সংলগ্ন মাঠে প্রত্যয় কিশোরী সংগঠন, চরমত্ত, সদর, মানিকগঞ্জ এবং আলোর দিশারী কিশোরী ক্লাব, আজিমপুর, সিংগাইর, মানিকগঞ্জ সংগঠন দুইটি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। দুইটি দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গোল করতে না পারায় ট্রাইবেকারের মাধ্যমে প্রত্যয় কিশোরী সংগঠন ৩টি গোল এবং আলোর দিশারী কিশোরী ক্লাব ৫টি গোল করে বিজয় লাভ করে। নারীদের অংশগ্রহণে মিউজিক্যাল চেয়ার ও পাতিল ভাঙ্গা খেলা অনুষ্ঠিত হয়। চেয়ার খেলায় রাজিয়া বেগম ১ম স্থান অধিকার করে, পাতিল ভাঙ্গা খেলায় নাজমা বেগম ১ম স্থান অধিকার করে।

এরপর ধলেশ^রী নারী সংগঠনের সভাপতি জরিনা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাগীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন। সভায় দিবসকে কেন্দ্র করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়ক বিমল রায়।

বিশেষ অতিথি জাগীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনবলেন, ‘৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এমন ব্যতিক্রম আয়োজন করার জন্য বারসিককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মেয়েদের ফুলবল খেলার মাধ্যমে মেয়েরা এগিয়ে যাবে। মেয়েদের খেলা নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ জোগাবে।’

জরিনা বেগম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কিশোরীরা ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করেছে, নারীরা চেয়ার খেলা, পাতিল ভাঙ্গা খেলায় অংশগ্রহণকারীদের ধন্যবাদ জানাই। নারীরা আজ কোন কিছুতেই পিছিয়ে নেই। ঘরের বাইরে অফিস আদালতে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে। দেশের উন্নয়নে সমান অধিকারের দাবিদার।’

প্রত্যয় কিশোরী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক যুথি আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। প্রতিবছর আমরা বারসিক’র সহযোগিতা বিভিন্ন জায়গায় ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। আমরা ফুটবল খেলি। আমাদের স্কুলে আমাদের মত অনেক মেয়ে আছে যারা ফুটবল খেলতে চায় কিন্তু তাদের পরিবার থেকে খেলতে দেয়না। অনেক পরিবার থেকেই মেয়েদের ফুটবল খেলতে দিতে চায় না। তারা মেয়েদের অবহেলা করে। তারা মনে করে মেয়েরা কিছুই পারবে না। কিন্তু একটা ছেলে যদি ফুটবল খেলে পরিবার থেকে বাধা দেয় না। সে রাত ১০ টায় বাড়িতে আসলেও তাকে কিছুই বলে না। ছেলে মেয়ে সমান অধিকার এটা পরিবারকে বুঝতে হবে।’

আলোর দিশারী কিশোরী ক্লাবের হালিমা আক্তার বলেন, ‘আমরা নারী, আমরা সব পারি। মেয়েরা কোন কিছুতে পিছিয়ে নেই। পরিবারে ছেলে-মেয়েদের সমান অধিকার দিতে হবে।”

সকল ক্ষেত্রে নারীর অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত হোক, নারী এগিয়ে যাক সমতা ও সাম্যের ভিত্তিতে।

happy wheels 2

Comments