আমাদের সমাধান প্রকৃতির মাঝে

ছবিটা ইন্টারনেটের ফ্রি সোর্স থেকে নেয়া হয়েছে

(প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষায় ১৯৯৭ সন থেকে কাজ করছে বারসিক। প্রতিবছর ২২ মে প্রাণবৈচিত্র্য দিবসে গ্রাম-শহরে বর্ণাঢ্যসব আয়োজন থাকে। মেলা, প্রদর্শনী, মানববন্ধন, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বৃক্ষরোপণ, বীজ বিনিময়, সংলাপ, সেমিনার, বক্তৃতা, আলোচনা কত কী! কিন্তু এই করোনা মহামারী ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে এ ধরণের আয়োজন এধরণের আয়োজন থাকছে না। এ বছরের প্রাণবৈচিত্র্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ Our solutions are in nature ’ আমাদের সমাধান প্রকৃতির মাঝে। বারসিক প্রতিনিধিরা সকলে মিলে এই লেখাটি তৈরি করেছেন। এটি একটি যৌথ লেখা। রাজশাহী, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, মানিকগঞ্জ, ঢাকা নানাপ্রান্ত থেকে টুকরো টুকরো লেখা পাঠিয়েছেন। সকল চিন্তার বৈচিত্র্য দিয়েই এবারের প্রাণবৈচিত্র্য দিবসের এই ছোট্ট আয়োজন। বারসিকনিউজ। লেখাটি অনুলিখন করেছেন ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল)

প্রাণবৈচিত্র্য সুরক্ষায় বাংলাদেশ নানা আন্তর্জাতিক নীতি ও সনদ স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র হলেও এসবের কোনো প্রয়োগ নেই। প্রাণবৈচিত্র্যের আন্তর্জাতিক সনদের রূপরেখা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৮৮ সালের নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচি (ইউএনইপি) বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটা এ্যাডহক কর্মী সম্মেলন আহ্বান করে। ১৯৮৯ এবং ১৯৯১ সালের সম্মেলনের ভেতর দিয়ে ২২ শে মে ১৯৯২ সালে আফ্রিকার নাইরোবিতে প্রাণবৈচিত্র্য সনদের মূল সনদ অনুমোদনের ভেতর দিয়ে কমিটির কাজ শেষ হয়। ১৯৯২ সালের ৫ জুন ব্রাজিলের রাজধানী রিওডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত ধরিত্রী সম্মেলনে স্বাক্ষরের জন্য সনদটি উন্মুক্ত করা হয়। ১৯৯৩ সালের ৪ জুন পর্যন্ত তা স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং ১৬৮টি দেশ তাতে স্বাক্ষর করে। রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ১৯৯২ সালের ৫ জুন এ সনদটি স্বাক্ষর করে এবং ১৯৯৪ সালের ৩ মে অনুসমর্থন দান করে। উক্ত সনদের আলোকে বাংলাদেশ ১৯৯৮ সালে “Biodiversity and community knowledge protection act’’ নামে একটি আইনের খসড়া তৈরি করে। পরবর্তীতে ‘জীববৈচিত্র্য আইন ২০১৭’ অনুমোদন করে। ১৯৯৩ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রাণবৈচিত্র্য দিবস পালিত হয় প্রতি বছরের ২৯ ডিসেম্বর। ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে আন্তজার্তিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবসের তারিখটি পরিবর্তিত হয়ে পুনরায় এটি ২২ মে নির্ধারিত হয়। ২০১০ সালকে আন্তজার্তিক প্রাণবৈচিত্র্য বর্ষ ঘোষণা করা হয়। প্রতিবছর এ দিবসের জন্য একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়। করোনাকালে এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘প্রকৃতির মাঝেই আমাদের সকল কিছুর সমাধান’। প্রাণ-প্রকৃতির অংশ হিসেবে মানুষকে করোনাকালের নিশানা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। মানুষকে মানতে হবে মানুষ এই প্রকৃতির অংশ, প্রকৃতি মানুষের শৃংখলিত দাস নয়। প্রকৃতিই আমাদের সকল বিপদ মোকাবেলার রসদ জোগাবে, জুগিয়ে এসেছে সুষ্টিলগ্ন থেকেই। আসুন প্রকৃতির সাথে প্রজাতি হিসেবে প্রকৃত আচরণ করি।

বারসিক পরিবারের সদস্যদের কথামালা:

সৌরজগতের গ্রহএকমাত্র এই পৃথিবীতেই রয়েছে প্রাণবৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ অপরূপ প্রকৃতি। এই পৃথিবীর সাগর-মহাসাগর, নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, বন-বনানী, ধুসর মরুভূূমি ও বিস্তীর্ণ সমতল সর্বত্রই প্রাণের প্রবাহ বিরাজমান যা পৃথিবীর নানা অঞ্চলের প্রান্তিক পেশাজীবী মানুষের বংশানুক্রমিক চিরায়ত ব্যবস্থাপনা ও নানাঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়েছে। পৃথিবীর প্রাণবৈচিত্র্যই যোগায় তাবৎ উদ্ভিদ ও প্রাণীর খাদ্য, জ্বালানি ও ঔষধের মতো অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রীর রসদ। তাই আজও এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রাণবৈচিত্র্য নির্ভর ৫ কোটি প্রান্তিকক কৃষকের কৃষিখামারই এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তার অন্যতম কারিগর।

বাংলাদেশে আবাদীজমির ৭৭ ভাগজুড়ে আছে ধান। ধানের বাস্তুতন্ত্রে আছে প্রায় ৬৫০ প্রজাতির বিপুল-বিশাল প্রাণবৈচিত্র্য যার মধ্যে কৌলিতাত্ত্বিক ভাবে ধানেরই রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন জাত, ল্যান্ডরেস, ধানক্ষেত, ক্ষেতের মাটিতে বিদ্যমান অণুজীব, উপকারী-অপকারী পোকামাকড়, সংলগ্ন অন্য ফসলের ক্ষেত, ধানের রোগবালাই ও পোকামাকড়ের প্রাদূর্ভাব সৃষ্টিকারী পোকা-মাকড়। ধানের বাস্তুতন্ত্রের ওই সব পরজীবী পোকামাকড় ধানের জন্য ক্ষতিকর পোকামাকড়কে আক্রমণ করে ক্ষতিকর পোকার বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য অক্ষুন্ন থাকলে রোগবালাই ও পোকা-মাকড় অর্থনৈতিক ক্ষতির পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে না। প্রাকৃতিকভাবেই ধানের বাস্তুতন্ত্রে রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীবের মধ্যে পারষ্পরিক বৈরিতা থাকে বলে কোনো এক প্রজাতির অণুজীব একাধারে বৃদ্ধি পায় না। অন্যদিকে ধানের বিপুল-বিশালপ্রজাতি, কালটিবার ও জাতের কারণে ধান যথেষ্ট পরিমাণে পোকামাকড় ও রোগ-বালাইপ্রতিরোধী। প্রাণবৈচিত্র্য নিজস্ব প্রতিবেশ এবং ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি চমৎকার খাদ্য শৃঙ্খল বজায় রেখে জীব জগতে একটি চমৎকার খাদ্য শৃঙ্খল তৈরি করে পারস্পরিক বৃদ্ধি ও অস্তিত্ব টিকিয়ে উৎপাদনের মূল ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। তাই পরিবেশসম্মত কৃষিচর্চাই প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণের অন্যতম উপায়।

অনন্য ও বহুবৈচিত্র্যে ভরপুর রাজশাহী তথা বরেন্দ্র অঞ্চল। পৃথিবীর প্রতিটি দেশ অঞ্চলের এরকম হাজারো বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে রচিত হয় জীবনের আখ্যান, জীবনের সংস্কৃতি। মানুষ প্রাণী এমনকি সংস্কৃতি সবকিছূই বেঁচে থাকে বৈচিত্র্যের মধ্যে দিয়ে। প্রকৃতির মধ্যে এই বৈচিত্র্যেই টিকিয়ে রেখেছে সবকিছুকে। যখনই প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ধ্বংস হয় তখনই ক্ষতি হয়েছে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণের। এমনকি সংস্কৃতিও বিলুপ্তির হয়েছে। তাই অঞ্চলে ভেদে বৈচিত্র্য সুরক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। ভৌগোলিকভাবে বিশেষ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন অঞ্চল বা এলাকাগুলো সুরক্ষায় আরো মনোযোগ দিতে হবে। সমসমায়কি লাভের আশায় যখন আমরা এই প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ধ্বংস করি, তা আসলেই আমরা আমদের নিজের টিকে ধাকার শক্তিকেই আর স্থায়ীত্বশীল সস্পদকেই ধ্বংস করি। এ যেন নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারি।
তাই সবকিছুর উন্নয়নে প্রয়োজন প্রকৃতির উন্নয়ন। এই উন্নয়ন সহযোগিতা মুল ভূমিকা পালন করতে হবে মানুষকেই। মানুষই পারে একমাত্র এই প্রকৃতিকে সুস্থ্য রাখতে । আর তা না হলে প্রকৃতি নিজেই্ তার নিজের মতো করে সবকিছূকে সাজিয়ে নিতে কার্পণ্য করবেনা। তখন হয়তো মানবজাতির আরেক ধ্বংসলীলা বয়ে আসবে।
যদি সকলকে নিয়ে বাঁচতে চাই, সবাই মিলে প্রকৃতি বাঁচাই, মহাবিপদে সেই দেবে ঠাঁই।
আমাদের অচাষকৃত প্রাকৃতিক খাদ্য ভান্ডারই যে কোন দূর্যোগ মুহুর্তের খাদ্য সংকট মোকাবেলা করার মূল উপাদান। এই উপাদান একদিকে খাদ্যের চাহিদা পুরণ করে ও পুষ্টির যোগান দেয় অন্যদিকে এর ভেষজগুণ আমাদের নিরোগ থাকতে কার্যকরি ভূমিকা রাখে।


প্রকৃতির একটি উপাদান হিসাবে আমরা যদি প্রকৃতিকে ভালো রাখি তবে প্রকৃতি তার সকল উপাদান দিয়ে আমাদেরকে ভালো রাখবে। আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্য দিবস সফল হোক।

প্রকৃতিকে স্বাভাবিক রাখতে হলে আমাদের সকলকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক রেখে কাজ করতে হবে। এটি তখনই সম্ভব যখন আমাদের সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকার জন্য অন্যান্য প্রাণীর অবদানকে আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতে পারবো।
প্রকৃতির সকল উপাদান থেকেই আমরা খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান ও বিনোদনের রসদ পাই। জন্মের পরে মানুষ প্রকৃতি থেকেই এই রসদ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শিখে নেয়। তাই প্রকৃতিকে যদি আমরা ক্ষতিগ্রস্থ না করি তবে প্রকৃতিই আমাদের জীবন ধারনের জন্য প্রয়োজনীয় সকল রসদের যোগান নিশ্চিত করবে।
প্রকৃতিই সকল প্রাণের উৎস্। প্রকৃতির এক অনন্য উপাদান মানুষ অন্যান্য উপাদানের সাথে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমেই টিকে থাকে ও বিকশিত হয়। আধূনিকতার নামে মানুষ তার অনিয়ন্ত্রিত ভোগবিলাসিতা, চাহিদা ও আকাঙ্খাকে পুরণ করতে গিয়ে প্রকৃতির অন্যান্য উপাদানগুলোর জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে ক্ষতিকর প্রাণী হিসেবে। মানবসভ্যতা বিকাশের জন্য আবিস্কার জরুরি তবে উৎসকে অস্বীকার করে নয়। প্রকৃতিকে অরক্ষিত করে আমরা নিজেরা সুরক্ষিত থাকতে পারবো না। তাই মানব জাতির সুরক্ষার জন্যই প্রকৃতির সুরক্ষা জরুরি।
আমরা প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতি তার অকৃপণ হাতে আলো, মাটি, পানি, বাতাস দিয়ে মানুষসহ কোটি কোটি প্রাণকে বাঁচিয়ে রেখেছে। পৃথিবীর সকল প্রাণ একে অপরের সাথে নির্ভরশীলতার মাধ্যমে টিকে আছে। যার পারস্পারিক মিথস্ক্রিয়ার উপর ভিত্তি করেই মানুষ গড়ে সমাজ সভ্যতা ও সংস্কৃতি। সকল প্রাণের সুরক্ষার জন্য প্রকৃতি থেকে আহরিত লোকায়ত জ্ঞান, চর্চা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই প্রকৃতিকে প্রকৃত রাখতে হবে।
আমরা মানুষ। সৃষ্টির অন্যতম জীব। আমরা মানুষ প্রকৃতির সকল কিছুকে ভোগ করে বেঁচে থাতে চাই কিন্তু তার বদলে প্রকৃতিকে ধ্বংস করহে চাই, প্রকৃতির প্রতি করি অবিচার। আমরা যদি প্রাণ বৈচিত্র্যকে শ্রদ্ধা করি, তার প্রতি সহিংসহা বন্ধকরি , তবে এই পৃথিবী বাসযোগ্য থাকবে।
এইতো কয়েক দিন আগেও প্রকৃতি ছিলো আমাদের কাছে দাসের মত। যে যেভাবে পেরেছি নিজেদের সুবিধার জন্য লুটেপুটে খেয়েছি। এখনো খাচ্ছি বা ভবিষ্যতে হয়তো খাবো। আর আমাদের এই সহিংস মনোভাবের কারণে প্রজন্ম তাদের চেনাজানা প্রকৃতির উপাদানগুলো কে হারাচ্ছি। আমাদের বাপ-দাদার যা দেখেছে আমরা দেখছি না, আবার আমরা যা দেখছি তা আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম দেখবে না। কিন্তু আমরা ভুলে যায় প্রকৃতির আন্তঃসম্পর্ক। আর এই সম্পর্কগুলো ভুলে যাই বলেই প্রকৃতি আমাদের সাথে বিরুপ আচারণ করে।
চাইলে সুস্থ, সুন্দর ও টেকসই উন্নয়ন, নিশ্চিত করতে হবে প্রাণ বৈচিত্র্য সংরক্ষণ। আসুন প্রাণ বৈচিত্র্য রক্ষা করি, টেকসই উন্নয়ন করি।
আমরা নদী বাঁচাই, নদী পেশা, মাছ, কৃষির সেচের পানি, প্রাণ বৈচিত্র্য, পরিবেশ রক্ষা করবে। তাই প্রকৃতির একটি উপাদানের মাঝেই তো অনেক কিছুর সমাধান আমরা দেখতে পাই।
প্রাণে প্রাণ মিলালেই সকল কিছুই সুন্দর হবে। প্রাণ ও প্রকৃতি তার মতন করেই বেঁচে থাকুক। আসুন এই করোনাকালে ষপথ নেই সকল বৈচিত্র্যকে ধারণ করবো, প্রাণে প্রাণ মেলাবো।
এ বছর আন্তর্জাতিক প্রাণবৈচিত্র্যে দিবসের প্রতিপাদ্য ”প্রকৃতির মধ্যেই আমাদের সকল কিছুর সমাধান”। প্রতিপাদ্যেই মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রকৃতির বৈজ্ঞানিক সমীকরণ। মানব সভ্যতার ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, মানুষের ভোগ বিলাসী আচরণের কারণে প্রতিনিয়ত প্রকৃতিকে ধ্বংস করেছে, বাড়িয়ে তুলছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, যার ফলস্বরুপ মানুষ বারবার মুখোমুখি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকৃতিক দুর্যোগের। করোনা ভাইরাস এবং সুপার সাইক্লোন আম্পান মানুষের জন্য প্রকৃতির পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মানুষ যে দিন প্রকতির এই জটিল বিজ্ঞান সত্যিকারভাবে অনুধাবন করতে পারবে, সেদিনই এই সুন্দর পৃথিবী সবার জন্য কল্যানকর ও বাসযোগ্য হবে। আসুন সবাই আমরা প্রকৃতির সন্তান হিসেবে নিজেদেরকে প্রকৃতির কাছে আত্মসমার্পণ করি, প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখি, বাঁচিয়ে রাখি প্রকৃতির সকল প্রাণকে।
(এই যৌথ লেখায় যারা অংশগ্রহণ করেছেন ঢাকা থেকে পাভেল পার্থ, সৈয়দ আলী বিশ্বাস, এবিএম তৌহিদুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম, ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, সাতক্ষীরা থেকে বাবলু জোর্য়াদার, গাজী আসাদ, ফজলুল হক, মনঞ্জয় মন্ডল, মারুফ হোসেন মিলন, নেত্রকোনা থেকে ওহিদুর রহমান, মোঃ আলমগীর, হেপী রায়, খাদিজা আক্তার লিটা, খাইরুল ইসলাম অপু, রুখসানা রুমী, শংকর ম্রং, পাবর্তী সিংহ, রাজশাহী থেকে শহিদুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ থেকে মুক্তার হোসেন, নজরুল ইসলাম প্রমূখ)

happy wheels 2