পথশিশু ও দরিদ্র মানুষের পাশে যুবকরা

রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি:

ইচ্ছে থেকেই শুরু মানুষের মুখে হাসি। কারণটা যদি নিজের জন্য হয় তাহলে শান্তিটা নিজেরই হয়। শুধু ইচ্ছেটা থাকতে হয়। বলছিলাম রাজশাহীর সংগঠন ইচ্ছে থেকেই শুরুকে নিয়ে। হঠাৎ কিছু বন্ধুরা মিলে অসহায় মানুষকে সহয়তা করার লক্ষ্যে ২০১৬ সাল থেকে সংগঠনটি যাত্রা শুরু হয়। কোন সংগঠন তৈরির উদ্দেশ্যে না থাকার কারণে কোন নাম দেওয়া হয়েছিল না। তবে পরবর্তীতে সকলের অনুরোধে ২০১৯ সালে ১৪ই ফ্রেরুয়ারি থেকে নাম দিয়ে প্রথম কাজ করা হয়। ইচ্ছে থেকে শুরু সংগঠনের সভাপতি সাবরিনা শারমিন হক বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য অসহায় দুঃস্থ মানুষকে সহায়তা করার। যাতে করে কিছুটা হলেও তাদের কষ্ট লাঘবে ভূমিকা রাখতে পারি।’ এই ইচ্ছে থেকে যুব সংগঠনটি পথশিশু ও দরিদ্র শিশুদের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা দেওয়া হয়। স্বল্প পরিসরে হলেও শিশুরা এতে উপকৃত হয়। এই সংগঠনের আওতায় অনেক পথশিশুকে পাঠদান করা হয় যাতে তারা শিক্ষালাভ কওে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে। শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণগুলো সংগঠনের সদস্যরা চাঁদা তুলে তা ক্রয় করে শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

করোনাকালীন এই সময়ে সংগঠনের সদস্যরা শিশু ও দরিদ্রদের সহায়তার জন্য নানান উদ্যোগ গ্রহণ করে। সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে পথশিশু ও দরিদ্রদের জন্য মাস্ক, স্বাস্থ্যসেবা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছে। ‘ইচ্ছে’র সদস্যরা তাদের সাধ্যমত এই পথশিশু ও দরিদ্রদের সেবা দিয়েছে। তাই তো দেখা গেছে, করোনাকালীন এই সময়ে সংগঠনের সদস্যরা ইতিমধ্যে ১০০টিরও বেশি পরিবারকে ৭ দিনের খাবার প্রদান করেছে। তার সাথে সকলকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করেছে। এছাড়াও রাজশাহীর বিভিন্ন প্রান্তের অসহায় মানুষকে এক বেলার খাবার নিশ্চিত করেছে।

যুবকদের রয়েছে প্রাণশক্তি ও অমিত সম্ভাবনা। শিক্ষালাভের পাশাপাশি তারা ইচ্ছা করলে সমাজের উন্নয়নের জন্য অনেককিছু করতে পারে। তারা যেমন এলাকার রাস্তা সংস্কার করতে পারে, পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ করতে পারে সমাজের ছোট্ট ছোট্ট সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারে এবং করোনাসহ অন্যান্য রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে পারে। ‘ইচ্ছে’ সংগঠনের সদস্যরা তাদের ইচ্ছাশক্তি দ্বারা সেটা করে প্রমাণও করেছে।

happy wheels 2

Comments