বাল্য বিয়ে ও নারী নির্যাতন বন্ধে নজরদারি বৃদ্ধি করতে হবে

সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে বিউটি সরকার

সম্প্রতি মানিকগঞ্জ জেলার ‘বারসিক’ সিংগাইর রিসোর্স সেন্টার কর্তৃক বাল্য বিয়ে ও নারী নির্যাতন বিষয়ে অনলাইন সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত সংলাপে অংশগ্রহণকারী বক্তরা মনে করেন, করোনাকালীন সময়ে বেড়েছে বাল্যবিয়ে ও নারী নির্যাতনের মাত্রা। অনলাইনভিত্তিক এ সংলাপে অংশগ্রহণ করেন বায়রা ইউপি সদস্য এবং প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আজাহার উদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সেলিনা বেগম, ছাত্র সুলতান আলী, শাহিন আলম, বায়রা জামে মসজিদের ইমাম মো. শহিদুল ইসলাম, সিংগাইর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বাদশা, সদস্য আতাউর রহমান, বারসিক বারসিক কর্মকর্তা শিমুল বিমশ্বমাস, বিউটি সরকার, শাহিনুর রহমান, অনন্যা মল্লিক,সঞ্জিতা কীর্ত্তনীয়া প্রমুখ।


সংলাপে বায়রা ইউপি সদস্য মো. আজাহার উদ্দিন বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে বাল্য বিবাহ বেড়ে গেছে।’ কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বর্তমানে স্কুল কলেজ বন্ধ, প্রশাসন বন্যা ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যস্ত। অন্যদিকে দেশে বর্তমানে বড় ধরনের আনুষ্ঠানিকতা করার ক্ষেত্রে বাধ্যবধকতা থাকায় গোপনে বিয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার করোনার কারনে নি¤œ আয়ের মানুষগুলো কর্মসংস্থান হারিয়ে আর্থিকভাবে দুর্বল হয়েছেন। এমতাবস্থায় কম খরচে বিয়ে অনুষ্ঠান করাটাকে সুযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।’ এ বিষয়ে বায়রা ইউনিয়ন পরিষদ এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন গ্রামে নজরদারি বৃদ্ধির গুরুত্ব আরোপ করছেন।


সিংগাইর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুম বাদশা বলেন, ‘করোনাকালী সময়ে অধিকাংশ মানুষ অলসভাবে জীবনযাপন করছেন ফলে নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে। আবার প্রশাসন করোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এদিকে নজর দিচ্ছেনা। প্রশাসনের কাছে বলতে গেলে তারা বলেন, আপনারা নিজেদের মত করে মীমাংসা করে ফেলেন।’ বাল্যবিয়ে বন্ধ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে হবে, আইনে রেজিষ্ট্রি করে বাল্য বিয়ে হয়না।’ সাংবাদিক আতাউর রহমান বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে কারণ স্বামীরা বিদেশে থাকায় নারীরা বাড়িতে অলসভাবে দিন কাটায়। অনেক সময় নিজেদের বিনোদনের জন্য অবাধভাবে চলাফেরা করার চেষ্টা করেন। এতে পারিবারিক অসন্তোষের মাত্রা বেড়ে গেছে।’ এছাড়া বাল্য বিয়ে রোধে প্রত্যেক পাড়ায় ব্যাপক আকারে আলোচনা করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

happy wheels 2

Comments