ক্ষেতে আসলে মনটা জুড়িয়ে যায় ফসল দেখে

বারসিকনিউজ ডেস্ক

লবণ পানি এবং লবণ মাটির সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয় উপকূলীয় দ্বীপ অঞ্চল পদ্মপুকুর ইউনিয়নবাসীর। নদী সংযোগ ইউনিয়ন হওয়াতে এখানে চিংড়ি ঘেরের সংখ্যা অনেক বেশি এবং কৃষি জমির পরিমাণ খুবই কম। আইলার পর অবশিষ্ট কৃষি জমি নোনা পানির চিংড়ি চাষের আওতায় চলে যায়। বর্তমানে বসতভিটা ছাড়া ইউনিয়নের সমস্ত কৃষিজমিতে চিংড়ি চাষ হয়।

দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততার আগ্রাসন বেড়েই চলেছে। কৃষি বিপর্যয়ের অশনিসংকেত হয়ে দেখা দিচ্ছে লবণাক্ততার আগ্রাসী থাবা। লবণের আগ্রাসন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য স্থানীয় মানুষেরা আবার তাদের পূর্ব পুরুষের পেশা তথা কৃষিকাজের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন স¤প্রতি। লবণ পানির ঘের শুধুমাত্র কৃষি পেশাকে বিলুপ্তির দিকে ঠেলে দেয়নি বরং প্রাণ ও প্রকৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ তা উপলদ্ধি করে স্থানীয় এলাকার মানুষেরা লবণ ঘেরে কৃষিকাজ শুরু করেছেন। মারাত্মক লবনাক্ত মাটি-পানি ও পরিবেশ মোকাবেলা করে পরিবারের খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে স্থানীয় মানুষেরা বসতভিটায় সারাবছর সবজি চাষ করেন।

কিন্তু ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। পরকর্তীতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চাহিদাকে মূল্যায়ন করে পদ্মপুকুর ইউনিয়নে পাখিমারা, কামালকাটি, ঝাঁপা, বন্যাতলা, গড়কুমারপুর, খুটিকাটা, চন্ডিপুর, পাতাখালী ও সোনাখালী গ্রামে বারসিক’র এর উদ্যোগে সম্প্রতি বীজ সহায়তা করা হয়। বীজ সহায়তা পাওয়ার পর পুনরাই স্থানীয় জনগোষ্ঠী ফসল চাষাবাদ শুরু করেছেন।

এই প্রসঙ্গে কামালকাটি গ্রামের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ক্ষেতে সবজি লাগিয়েছিলাম কিন্তু ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে বারসিক থেকে বীজ সহায়তা করার ফলে পুনরায় সবজি ক্ষেতে সবজি লাগাই। এখন ক্ষেতে আসলে মনটা জুড়িয়ে যায় ফসল দেখলে। বীজ সহায়তা না করলে হয়তো পুনরাই সবজি লাগানো সম্ভব হতো না। আমার সবজি ক্ষেত থেকে নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে পরিবারের অন্যান্য চাহিদা মেটাতে পারছি।’

happy wheels 2

Comments