বন্যপ্রাণী ও পাখির সুরক্ষায় আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে

রাজশাহী থেকে শামীউল আলীম শাওন

বন্যপ্রাণী ও পাখি শিকার বন্ধে যে আইন আছে তার কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীর সচেতন তরুণ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস ২০২০ উপলক্ষে নগরীর পদ্মানদীর র্তীরবর্তী শিমলা পার্কে পাখির প্রতি ভালোবাসা ও আমাদের অঙ্গীকার বিষয়ে গণসচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে এ দাবি জানান তারা।

‘পাখিরা পৃথিবীকে একিভূত রাখে’ (Birds connect our world)  স্লোগানে গতকাল এ প্রচারাভিযান অনুষ্ঠিত হয়। প্রচরাভিযানে রাজশাহী পরিবেশ আন্দোলন ঐক্য পরিষদ, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ- ইয়্যাস, ইচ্ছা থেকে শুরু, আদিবাসী যুব পরিষদ, সেবা পরিবার-রাজশাহী, বরেন্দ্র অঞ্চল যুব সংগঠন ফোরাম ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকসহ ১২টি সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকেবন্যপ্রাণী ও পাখি সুরক্ষায় সচেতনমূলক আলোচনা ও লিফলেট বিতরণ করেন।


অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিযায়ী পাখি দিবসের পাখি ও আমাদের পরিবেশ বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়ক শহিদুল ইসলাম। পাখি আমাদের খাদ্য শৃঙ্খল বিষয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন রাজশাহী পরিবেশ আন্দোলনের সদস্য সচিব মো. নাজমুল হোসেন রাজু, বরেন্দ্র অঞ্চলসহ পদ্মার তীরে আমাদের পাখি বৈচিত্র্য ও সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতামূলক বক্তব্য তুলে ধরেন আহবায়ক মাহবুব টুংকু।

বক্তারা বলেন, রাজশাহী একটি প্রাণপ্রাচুর্য়ের শহর ছিলো, এখানে নানা জাতের পাখির বৈচিত্র্য ছিলো, শীতকালে পরিযায়ী পাখিরা এই অঞ্চলে বেশি আসতো। কিন্তু দিনে দিনে বড় বড় গাছপালা কর্তন, নদী নালা খাল বিলগুলো দখল দূষণের কারণে পাখির বিচরণ কমে গেছে। এমনকি পাখির খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়াসহ তাদের বাসস্থানের অভাবে প্রজননে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন পাখি বিলুপ্ত হয়েছে আবার অনেক পাখি বিলুপ্ত হবার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলো পদ্মা চরে বা এর আশেপাশে দ্রুত সময়ে পাখি ও বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য তৈরির দাবিও জানান। অনুষ্ঠান চলাকালে বন অধিদফতরের বন্যপ্রাণী ব্যস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তারা এসে সংহতি প্রকাশ করেন এবং অনুষ্ঠানের আয়োজকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানটি সার্বিক সঞ্চালনা করেন, ইয়ুথ এ্যাকশন ফর সোস্যাল চেঞ্জ-ইয়্যাস সভাপতি মো. শামীউল আলীম শাওন।

happy wheels 2

Comments