করোনা মহামারীতে বস্তিবাসীরা সংকটে নিমজ্জিত

ঢাকা থেকে সাবিনা নাঈম ও কামরুন নাহার :
নগরের নিম্ন আয়ের মানুষরা এই করোনাকালে মারাত্মক সংকটের মধ্যে জীবনযাপন করছে আর কোভিড বর্জ্য তাদের জন্য বড় হুমকি বলে তারা মনে করেন। গত ৫ ও ৬ মে ঢাকা কলিং প্রকল্পের আওতায় বারসিকের উদ্যোগে হাজারীবাগের বালুর মাঠ ও বউ বাজার বস্তির প্রায় ৮০ জন বস্তিবাসীদের নিয়ে উঠান বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা তাদের নানাবিধ সংকটের কথা তুলে ধরেন। বৈঠকে বস্তিবাসী নেত্রী রাফেজা বলেন, করোনার সবচেয়ে করুণ শিকার হলো বস্তিবাসী ও ছিন্নমূল মানুষেরা। এদের ঘরে ঘরে অভাব ও সংকট। বস্তিবাসীদের কাজ নেই, যারা কাজে ছিলো তাদের কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, ঘরে ঘরে ঋণের বোঝা।তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে যে নতুন বর্জ্য তৈরি হয়েছে তাতে বস্তিবাসীরা আরও মারাত্মক সমস্যার মধ্যে আছে। টেস্ট হয়না তাই বলা যায় না যে কতজন বস্তিবাসী করোনায় আক্রান্ত।


বস্তিবাসী নেতা হারুন বলেন, বস্তির পরিবেশ সবসময়ই খারাপ। এখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নাই বললেই চলে। আবার যেখানে আছে সেখানে ১০০ টাকা করে বাধ্যতামূলক দিতে হয়। করোনার সময় বস্তিবাসীদের স্বাস্থ্যগত ঝুকি সবচেয়ে বেশি কারণ এই মানুষরাই বাসা বাড়ীতে কাজ করে আর সে কারণে তাদের ঝুকি সবচেয়ে বেশি কিন্তু এবিষয়ে সরকারের তেমন কোন উদ্যোগ নেই বললেই চলে। অন্যদিকে বস্তিবাসীদের জন্য কোন ঝুঁকি ভাতার ব্যবস্থা না করে তাদের কাজ থেকে ছাটাই করে দেয়া হয়েছে। এসময়ে বস্তিবাসীদের জন্য রেশনিং চালু করা দাবি জানান তিনি।
বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা আরও বলেন, বস্তির নোংরা পরিবেশকে ভাল করতে হলে বস্তিবাসীদের এ নগরের মানুষ বলে মানতে হবে আর তাদের সকল সরকারী সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। তারা অভিযোগ করে বলেন, বস্তিবাসী শুনলে সরকারের কোন অফিস এমনকি কাউন্সিল অফিসও আমাদের কথার কোন দাম দেয়না।
২দিনের অনুষ্ঠিত ৪টি বৈঠকে বারসিকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ, কমিউনিটি মবিলাইজার সাবিনা নাঈম, কামরুন নাহার প্রমূখ।

happy wheels 2