বাল্য বিয়ে নারীর অকাল মৃত্যুর কারণ

সিংগাইর মানিকগঞ্জ থেকে শাহীনুর রহমান

বাংলাদেশের আইনে মেয়েদের বিয়ের বয়স নির্ধারন করা আছে ১৮ বছর এবং ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ বছর। এর কম বয়সী ছেলে মেয়েদের বিয়ে হলে সেটি হয় বাল্য বিয়ে, যা একটি দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু আইনের বিধি নিষেধ থাকলেও বাল্য বিয়ের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় নিয়মিতই। বাল্য বিয়ে দেশের উন্নয়নে একটি বড় বাধা। যদিও বাল্য বিয়ে রোধে সরকারি ও বেসরকারিভাবে নেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের পদক্ষেপ।


সেই ধারাবাহিকতায় সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের বাংগালা গ্রামে বলধারা ইউনিযন সাংষ্কৃতিক দল ও বারসিক’র যৌথ উদ্যোগে বাল্য বিয়ে রোধে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সীমিত পরিসরে সচেনতা মুলক সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে সম্প্রতি। বাংগালা নব কৃষক কৃষাণি সংগঠনের সভাপতি মো. তমিজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাংগালা নব কৃষক কৃষাণি সংগঠনের সহ-সভাপতি সুভাষ মন্ডল, ভানু মন্ডল, সাংষ্কৃতিক শিল্পী বিধান মন্ডল ও বারসিক কর্মকর্তা শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ।

বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে নিজের লেখা গান পরিবেশন করেন বলধারা ইউনিয়ন সাংষ্কৃতিক দলে সদস্য মো: সুমন সরকার। সুমন সরকার তার গানে গানে বলেন, ‘এই যে বাল্য বিয়ে তার পরিনাম ভয়াবহ ,আঠারোর নিচে বিয়ে দিতে আছে বারণ,বাল্য বিয়ে নারীর অকাল মৃত্যুর কারণ।’ গান পরিবেশন শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান করোনাকালীন সময়ে মানুষের জীবনে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন যার প্রভাব পড়েছে গ্রামীণ ও প্রান্তিক মানুষের জীবন ও জীবিকায়। বর্তমান করোনাকালীন সময়ে স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকায় ও প্রান্তিক মানুষের আয়ের উৎস কমে যাওয়া, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা ও অভিভাবকদের অসেচতনতা বাল্য বিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাল্য বিয়ে রোধ করতে হলে অভিভাবকদের সচেতন করতে হবে।’


আলোচনায় বক্তারা আরো বলেন, ‘বাল্য বিয়ে নারীর অনিরাপদ মাতৃত্ব ঝুঁকি বাড়ায়। বাল্য বিয়ের কারণে অকাল গর্ভপাত হওয়ার ফলে মা ও সন্তান অপুষ্টিতে ভুগে। বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের সামাজিকভাবে সচেতন হতে হবে। মেয়েদের নিরাপদ পথচলা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিক্ষা পতিষ্ঠান, কর্মস্থল, রাস্তাঘাট গণপরিবহনে নারীবান্ধব ও যৌন হয়রানিমুক্ত সামাজিক নিরাপত্তার বিধান নিশ্চত করতে হবে। কোথাও বাল্য বিয়ে ও যৌতুক নারী নির্য়াতন হলে সরকারি আইনি সহায়তা গ্রহণ করতে হবে।’

happy wheels 2

Comments