গবাদিপশু পালন আর্থিক ও পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে

সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে বিউটি সরকার
অর্থনেতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠার জন্য গবাদিপশুর রোগের লক্ষণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা সর্ম্পকে সম্প্রতি বায়রা ইউনিয়নের নয়াবাড়ি আর্দশগ্রাম কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে গবাদিপশুর রোগ ও নিরাময় বিষয়ক ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিথ হয়েছে। প্রশিক্ষণে সহায়কের ভূমিকা পালন করেন বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার মো: মাসুদুর রহমান।


প্রশিক্ষণে মাসুদুর রহমান বলেন, ‘প্রত্যেক জীবের জন্য ৬টি খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন রয়েছে। মুরগির গুটি বসন্ত, রানীক্ষেত, হাসেঁর প্লেগ রোগ এবং ছাগলের পি.পি রোগ হয়। এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে পশুপাখিদের চিকিৎসা করতে হয়।’ মুরগির রানীক্ষেত রোগের লক্ষণ বর্নণায় তিনি জানান, রানীক্ষেত রোগ ভাইরাসজনিত। এ রোগে সাধারণত মুরগির সাদাচুনা পায়খানা, নাক দিয়ে পানিপড়া, মুখ দিয়ে লালা আসে। এ রোগের প্রতিকারের উপায় হিসাবে তিনি অসুস্থ মুরগীকে আলাদা রেখে রেনামাইসিন ট্যাবলেট বেটে গুড়া করে খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। এছাড়া গুটি বসন্ত ও কৃমি হলেও পটাশ ভাতের সাথে মিশিয়ে মুরগিকে খাওয়ানো এবং মুরগির জ¦র ও ঠান্ডা হলে অর্ধেক নাপা ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ দেন।


এক পর্যায়ে ছাগলের পি.পি.আর রোগের লক্ষণ বর্ণনায় মাসুদুর রহমান বলেন, ‘ছাগলের মাথা ফুলে যাওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখে ময়লা আসা, পাতলা পায়খানা এবং শরীর কাপা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে ছাগলকে ভ্যাকসিন প্রদান ও নিয়মিত কৃমির ঔষধ খাওয়ানো এবং প্যারাক্লিয়ার ও এ্যানোরা ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। আর ডায়রিয়া হলে স্যালাইন ও ফিলমেট ঔষুধ অবশ্যই খাওয়াতে হবে।’


প্রশিক্ষণে সংগঠনের সদস্য সালেহা বেগম বলেন, ‘বারসিক থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে গবাদিগশুর রোগের লক্ষণ ও এর প্রতিকার সর্ম্পকে জানতে পেরেছি, যা গবাদিপশু পালনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ সংগঠনের সভাপতি কমলা বেগম বলেন, ‘গবাদি পশু পালন অর্থ ও পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। আমি এখন থেকে আমার গ্রামের সকল মুরগিকে ভ্যাকসিন দিয়ে সহায়তা করবো যাতে মুরগির মৃত্যুর হার কমে যায়।’


গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে হাঁস, মুরগি, গরু ও ছাগল লালন পালন করা হয়। এতে পরিবারের পুষ্টি পূরণসহ অর্থনৈতিক চাহিদাও পূরণ হয়। তবে অনেক সময় অজ্ঞতার কারণে কিংবা চিকিৎসার অভাবে গবাদিপশু মারা যায়। এতে পরিবারকে অর্থনৈতিক ক্ষতির সন্মুখীন হতে হয়।

happy wheels 2

Comments