গবাদি পশু পালন করে স্বচ্ছল পবার নাদিরা বেগম

রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন 

রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার দর্শনপাড়া ইউনিয়নের বিলধর্মপুর গ্রামের নারী নাহিদা বেগম। বয়স ৪৮ বছর। তার স্বামী পেশায় একজন কৃষক। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪ জন। তার বসতভিটার পরিমাণ ১২ শতক ও আবাদি জমির পরিমাণ ৩ বিঘা। ধান,গম, মসুর, খেঁসারিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল ও সবজি চাষাবাদ করেন তিনি।

সংসারের বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি গবাদি পশু পালন করে নাদিরা বেগম। তাঁর ৩টি দেশী জাতের গরু ও ৫টি ছাগল আছে। পরিবারে তার স্বামী তাকে গবাদি পশুর খড় কাটা ও গোসল করাতে সাহায্য করেন। তিনি বলেন, ‘ফসল চাষাবাদদের পাশাপাশি গবাদিপশু পালন করে আমি অনেকটা স্বনির্ভর হয়ে উঠেছি। আমাকে কোন ঋণ নিতে হয় না। গরু ছাগল পালন করে আমি এ খাত থেকে বছরে প্রায় লাখখানেক টাকা আয় করি। এটা আমার সংসারের জন্য বাড়তি আয়ের উৎস।’

এছাড়া তিনি দু’টি গাভী থেকে প্রতিদিন ২ লিটার করে ৪ লিটার দুধ পান, যায় বাজারমূল্য ২০০ টাকা। এই টাকা থেকে সংসারের দৈনন্দিন চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারেন বলে তিনি জানান। গবাদি পশুগুলোকে তিনি চাষ করা জমিতে খড়, ঘাস, মসুর ও খেঁসারি, গম খাওয়ান। ফলে গবাদি পশুর জন্য খাবার কিনতে হয়না তাকে। অন্যদিকে গবাদি পশু থেকে যে গোবর পান সেটা জৈব সার হিসেবে জমিতে ব্যবহার করেন। পাশাপাশি বাড়তি গোবর নুন্দা তৈরি করে নিজের জ্বালানি চাহিদা পূরণ করেন। বছরে তিনি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার নুন্দা বিক্রি করে আয় করেন।

তিনি গবাদিপশু পালনের ওপর একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন বারসিক’র সহায়তা নিয়ে। ফলে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ ও রোগবালাইসহ অনেক বিষয়ে ধারণা লাভ করেন। আগে নাদিরা  বেগমের সংসারে আর্থিক সমস্যা লেগেই থাকতো। তবে গবাদি পশু পালনের ফলে তার পরিবার এখন স্বচ্ছল। নাদিরা বেগমের মত প্রত্যেক নারী গবাদি পশু পালনে আগ্রহী হয়ে নিজের পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারে। 

happy wheels 2

Comments