আমি এখন থেকে নিজ উদ্যোগে কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরি করবো

রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন 

বারসিক’র উদ্যোগে সম্প্রতি পবা উপজেলা জন সংগঠন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় পবা উপজেলার ১২টি সংগঠনের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় সংগঠনের ও নিজ নিজ কাজ ও অভিজ্ঞতা সবার সাথে সহভাগিতা করেন সদস্যরা।

সে সভায় দর্শনপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা কারিগর পাড়ার রেনুকার কেঁচো কম্পোস্ট সারের কথা শুনে তা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বারসিক কর্মকর্তা মোসাঃ সুলতানা খাতুন সহযোগিতায় ওই সংগঠনের সদস্যরা বড়গাছি ইউনিয়নের কারিগর পাড়া গ্রামে কেঁচো কম্পোস্ট দেখার ও এই সার তৈরির কৌশল জানার জন্য পরিদর্শন করেন। রেনুকা ও বিলকিস নামের নারীরা ওই পরিদর্শনকারী কৃষক ও কৃষাণীদের হাতেকলমে কেঁচো কম্পোস্ট তৈরির কৌশল শেখান।

অভিজ্ঞতা বিনিময় শেষে দর্শন পাড়া ইউনিয়নের কৃষাণ-কৃষাণী কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ‘বাড়িতে গিয়ে গোবর সংরক্ষণ করে ও চাড়ি ও কেঁচো কিনে  সার তৈরি শুরু করবো।’ কৃষাণী নাদিরা বেগম বলেন, ‘আমার কাছে কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরি সহজ মনে হয়েছে। আমার বাড়িতে ৩টি গরু আছে। আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে সামনের মাস থেকে সার তৈরি শুরু করবো। পাশাপাশি সংগঠনের সবার সাথে অভিজ্ঞতা সহভাগিতা করবো। যাতে গ্রামের নারীরা সংসারের দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরি করার উদ্যোগ নেয়। এছাড়া তাঁরা যেন নিজেদের সবজি চাষে ও বিক্রি করে আয় করতে পারেন।’

তাঁর মতে, গ্রামের নারীরা বাড়িতে থেকে আয় করে সাবলম্বী হতে পারেন।

উল্লেখ্য, রাজশাহী অঞ্চলের পবা উপজেলা সবজি চাষের অন্যতম এলাকা। জমিতে সবজি চাষের পাশাপাশি বাড়ির পাশে নারীরা মৌসুমভিত্তিক শাকসবজি চাষাবাদ করে। জলবায়ু পরিবর্তন ও আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারণে অতীতের তুলনায় বর্তমানে শাকসবজি চাষাবাদে বিভিন্ন রোগ ব্যাধি দেখা দিচ্ছে। যার ফলে কৃষকরা রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের উপর আসক্ত হয়ে পড়ছেন।

happy wheels 2

Comments