‘আমাগো ভাষা আমাগো অধিকার’

বিউটি সরকার,বারসিক সিংগাইর, মানিকগঞ্জ।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর লক্ষ্যে গত ২১ ফেব্রুয়ারি সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বায়রা একতা কৃষক-কৃষাণী সংগঠনের উদ্যোগে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও শিশু, কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
উক্ত কর্মসূচিতে কৃষক সংগঠনের সদস্য ছাড়া ও শহিদ রফিক যুব স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সদস্য ও শিশু এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মসূচির শুরুতে সকলে কলাগাছের তৈরি শহীদ মিনারে ভাষা শহিদদের উদ্দেশ্যে শিমুল ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করা হয়। পরবর্তীতে সকলে মিলে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’-এ গানটি পরিবেশন করা হয়। এছাড়া নতুন প্রজন্মকে শহীদ দিবস ও মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য শিশু কিশোরদের দিয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার গুরুত্ব প্রসংগে বায়রা একতা কৃষক সংগঠনের সভাপতি রোকেয়া বেগম বলেন, ‘এখন প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারিতে গ্রামে নিজেরাই শহীদ মিনার তৈরি করে তাতে ফুল দিই। এতে মনে শান্তি পাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমাগো বাংলা ভাষার জন্য যারা জীবন দিছে তাগো আমরা শুধু এই দিনে না; সারাবছরই মনে রাখুম, আমাগো ভাষা আমাগো অধিকার।’ পরিশেষে চিত্রাংকন প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, বায়রা গ্রামের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী কৃষিকাজ করেন। তাই ইচ্ছে থাকা সত্বেও একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে গিয়ে তাদের ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা সম্ভব হয়ে উঠেনা। তবে ৬ বছর আগে বারসিক’র সহযোগিতায় বায়রা একতা কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে প্রথমবা বায়রা গ্রামে কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। এরপর প্রতিবছর বায়রা একতা কৃষক সংগঠন নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে গ্রামে শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান করেন। এ বছরও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে এ বছর করোনা মহামারীর কারনে স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে গিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতে পারেনি তাই নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে বায়রা একতা কৃষক সংগঠন এ দিবস উযাপন করেন।

happy wheels 2

Comments