নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর পরিবেশগত সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে

ঢাকা থেকে ফেরদৌ্স আহমেদ উজ্জল

প্রতিবছর প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ শুধুমাত্র নানাবিধ দূষণের কারণে অকালে মৃত্যুবরণ করছে। ঢাকা শহরের নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর পরিবেশগত সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং স্থানীয় সরকার ও সমরায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ।

গতকাল দূষণমুক্ত ঢাকা নগরীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ইউএসএইড ও এফসিডিও এর আর্থিক সহযোগিতায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরী সহযোগিতায় ডিএসকে কনর্সোটিয়াম কর্তৃক বাস্তবায়িত ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে পার্লামেন্ট ক্লাব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ- এর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতিনিধিদের নিয়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় পরিবেশ দূষণ ও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রভাব  নিয়ে স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সমন্বিতভাবে কাজ করার বিকল্প নেই বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিষয়টির উপর জোর দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত পরিকল্পনা  ও বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন ।

উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলীয় চীপহুইপ ও সদস্য এবং সাংসদ মশিউর রহমান রাঙ্গা, স্থানীয় সরকার ও সমরায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, এ্যাড. খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, এমপি, ও সদস্য, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি প্রমূখ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিরোধী দলীয় চীপহুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা, এমপি বস্তিবাসীদের সুস্থ রাখার উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, ‘আমাদের সুস্থ থাকতে হলে বস্তিবাসীদের সুস্থ রাখার বিকল্প নেই। সরকারের আন্তঃমন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশকে সুস্থ রাখতে রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
এ্যাড. খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, এমপি বলেন, ‘সচেতনতা, বর্জ্য দ্রুত অপসারণ, গবেষণা ও  আইনের সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন।’ ক্রিস্টিন ওয়েলস বলেন, ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য এই পলিসিগুলো খুবই জরুরি। সরকারি ও বেসরকারী অংশিদারিত্বের মাধ্যমে আমরা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করতে পারি।’


আলোচনা সভায় আলোচকরা,  কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে দ্রুত গাইডলাইন প্রণয়নের আহবান জানান। আলোচনা সভা থেকে দুটি সংসদীয় কমিটির হাতে ঢাকার দুই প্রান্তিক অঞ্চলের নিম্ন আয়ের প্রতিনিধিরা দুটি স্মারকলিপি তুলে দেন ।

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিফ অব পার্টি কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল-এর মইনুদ্দীন আহমদ, অফিস ডিরেক্টর, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ-এর ক্রিস্টিন ওয়েলস, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিষ্ট, ইউএসএআইডি বাংলাদেশ-এর সুমনা বিনতে মাসুদ, বারসিক’র নির্বাহী পরিচালক সুকান্ত সেন, কাপ এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান ইয়াত এবংইনসাইটস এর উপদেষ্টা সুমন আহসানুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডা. দিবালোক সিংহ, নির্বাহী পরিচালক, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) ও চেয়ারপার্সন, কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর (কাপ)।

happy wheels 2

Comments