জলাবদ্ধতা; ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ চাই

সাতক্ষীরা থেকে সাকিবুল হাসান সাকিব

দক্ষিণের কোলঘেঁষে সুন্দরবনের সান্নিধ্যে অবস্থিত জেলা সাতক্ষীরা। রূপে গুণে ও লাবণ্যে অন্যান্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরা এগিয়ে থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের থাবা বারবার জেলার মেরুদ-কে ভেঙে দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়, সিডর আইলা থেকে শুরু করে আম্ফান, ফনী এ জেলাকে তছনছ করেছে বারবার। তবে, সবচেয়ে বেশি কষ্টদায়ক ও ভোগান্তির নাম জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে বছরের একটা দীর্ঘ সময় জেলার সাতক্ষীরা পৌরসভা থেকে শুরু করে আশপাশের ইউনিয়নের অলি-গলি ডুবে থাকে। এ যেন এক চরম দুর্দশার নাম।

সাতক্ষীরা সদরের একটি গ্রাম মাছখোলা। এটি একটি বড় ও জনবহুল এলাকা। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে বেতনা নদী। এক সময় ভরাযৌবন থাকলেও নদীটি এখন নাব্যতা হারিয়ে মৃতপ্রায়। তাছাড়া মানবসৃষ্ট কারণের মধ্যে ঘের এবং ঘেরে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের মুখে তালা দিয়ে রাখা জলাবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ। এজন্য একটু বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। হাটুর উপরে পানি থাকে বছরের ৭-৮ মাস। বেশির ভাগই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। স্যনিটারি ল্যাট্রিন, ড্রেনসহ সব কিছু ডুবে গিয়ে পানি হয়ে ওঠে বিষাক্ত ও দূষিত। নিরাপদ পানি হয়ে যায় সোনার হরিণ। অত্র এলাকার স্কুল কলেজও ডুবে একাকার হয়ে যায়। শিক্ষকরা স্থান পরিবর্তন করে উঁচু কোন স্থানে অস্থায়ী ক্যাম্পের মত করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে থাকেন। মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয়গুলোও ডুবে থাকে পানির নিচে। কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না। এই দুর্ভোগের কথা মনে উঠলে বুকটা কেপে ওঠে।
এলাকাবাসী চাই পানি নিষ্কাশন ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণে আগাম ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

লেখক: সদস্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম

happy wheels 2

Comments