পাখিটি প্রাণে বেঁচে গেল

রাজশাহী থেকে রিনা টুডু

আমরা নিজেরা যদি সচেতন না হই তাহলে আমাদের প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা করতে পারবো না। প্রাণবৈচিত্র্যর প্রতিটি অংশ আমাদের উপকার করে এবং কাজে লাগে। কিন্তু আমরা অনেক সময় প্রাণবৈচিত্র্যের উপকারিতার বিষয়টি অনুধাবন না করে প্রাণবৈচিত্র্য বিনাশ করি। অথচ একটু সচেতন হলেই আমরা পাখিসহ অন্যান্য প্রাণগুলোকে সুরক্ষা দিতে পারি। এতে প্রকৃতিরই লাভ হবে।

সম্প্রতি রাজশাহীর মুন্ডুমালা পাঁচন্দর মাহালী পাড়া গ্রামে গাছের নিচে অনেকগুলো ছোট বাচ্চারা খেলা করছিল। হঠাৎ করে খেলার মাঝে গাছ থেকে একটি পাখির বাচ্চা পড়ে গেল। কিছু শিশু পাখিটিকে ধরে ফেললো এবং খুব আনন্দ করছিলা এই ভেবে যে তারা পাখিটিকে ধরতে পেরেছিল! শিশুরা কেউ পাখির বাচ্চাটিকে মেরে ফেলার কথা চিন্তা করলো আবার কেউ তাকে খাবার দেওয়ার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়লো। বাচ্চা পাখিটি ভয়ে একেবারে বিধ্বস্ত হলো!

এ সময় কিছু যুবক বিষয়টি লক্ষ্য করলো। ছুটে গিয়ে শিশুদের হাত থেকে বাচ্চা পাখিটিকে উদ্ধার করলো। পাখির বাচ্চাটি হয়তো কোনো কারণে গাছ থেকে পড়ে গিয়েছিল। যুবকরা শিশুদের বলল, ‘তোমরা কেনো তাকে আটকে রেখেছ। তোমরা হারিয়ে গেলে যেমন তোমাদের মা তোমাদের জন্য কান্নাকাটি করে । আর তোমাদের মাকে যদি খুঁজে না পাও তখন তোমাদের যেমন কষ্ট হয়, কান্নাকাটি করো। ঠিক তেমনি পাখি বাচ্চা পড়ে পাখিটি র মা কষ্ট পাচ্ছে। তাই বাচ্চা পাখিটিকে ছেড়ে দেওয়া উচিত।’

যুবকদের এ কথায় শিশুরা বাচ্চা পাখিটিকে ছেড়ে দিলো। এরপর সবাই মিলে বাচ্চা পাখিকে আকাশ ছেড়ে দিলো। আর মনে হচ্ছে, পাখিটিও নিজের নীড়ে যেতে পেরে বেশ আনন্দিত! পাখিটি আকাশে উড়ে নিজের ঠিকানায় ফিরে গেল। এভাবে অবুঝ শিশুদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচে গেল বাচ্চা পাখিটি। অন্যদিকে শিশুরাও বুঝতে পারলো পাখি আমাদের উপকার করে, তার ক্ষতি করতে নেই।

happy wheels 2

Comments