বান্দরজটা ধান দুর্যোগ মোকাবেলা ভুমিকা রাখে

মুকতার হোসেন, হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ

মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা গজারিয়া গ্রামে বান্দরজটা ধান চাষ করেন কৃষক জমিলা বেগম। তিনি জানান, ‘আমাদের এলাকায় বন্যা আসে। পানিতে ধান তলিয়ে যায় কিন্তু পানি বাড়ার সাথে সাথে বান্দরজটা ধান বাড়তে থাকে। এই ধান কম পানি বেশি পানি বা জলাদ্ধতায় ভালো ফলন হয়। বন্যার পানি বান্দরজটা ধান ক্ষতি করতে পারে না।’ ছানিয়ানবাড়ি গ্রামের কৃষক অনুপ বাড়ৈ বলেন, ‘বান্দরজটা আমন মৌসুমের একটি জাত। আমাদের এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা মোকাবেলা ভূমিকা রাখে।’

মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলায় কৃষক পর্যায়ে যোগাযোগ ও প্রাপ্ত তথ্যর ভিত্তিতে বারসিক মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ও প্রোগ্রাম অফিসার মুকতার হোসেন চলতি বছর মানিকগঞ্জ এলাকায় থেকে ৩৫টি স্থানীয় জাতের বীজ ধান সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরে যাওয়া হয়। মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার গজারিয়া, সেনিদয়া, কদমবাড়ি, খালিয়া গ্রামে যাওয়া হয়। সেখানে আরো পরিচয় হয় কয়েকজন কৃষককের সাথে। অনিতা বাড়ৈ, অনু বাড়ৈ, পপি বৈরাগি, জমিলা বেগম, শাহেদা নেছা ও সাগর। তাদের সাথে এলাকার কৃষি বৈচিত্র্য, জীবন জীবিকা, জলবায়ু পরিবর্তনে ফলে কৃষি চাষাবাদে কি ধরনের প্রভাব ফেলছে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা করা হয়।

বান্দরজটা আমন ধানের জাত কম পানিতে ও বেশি পানিতে উৎপাদিত হয়। এ জাতটি অনিতা বাড়ৈ আমাদেরকে দেন। অনিতা বাড়ৈর ছেলে অনুপ বাড়ৈ এ জাতটি তার শ্বশুরবাড়ি একই উপজেলার অন্য একটি গ্রাম থেকে সংগ্রহ করে চাষ করছেন। কদমবাড়ি গণেশ পাগলা আশ্রম মন্দিরের পাশে ধান রোদে শুকাতে দিয়েছেন সাগর সরকারের ৮০ উর্দ্ধ বৃদ্ধ মা। উনি আমাদের লাল পোলাও ধানবীজ নিজ হাতে তুলে দেন। জমিলা বেগম,সাহেদা নেছা,পপি বৈরাগিসহ আমাদের ৮টি আমন মৌসুমের ধানের জাত সংগ্রহ করতে সহায়তা করেন।  ধানের জাত সমূহঃ গাবুরা, সাদাগাবুরা, মটরদিঘা, আয়জন,সাদা পোলা, লাল পোলা।

happy wheels 2

Comments