মঠবাড়িয়ায় আমন বীজতলা জলমগ্ন: বীজ সংকটের আশংকা কৃষকের

দেবদাস মজুমদার, বিশেষ প্রতিনিধি, উপকূলীয় অঞ্চল

অমবস্যার অস্বাভাবিক জোয়ারের প্লাবণ ও অতিবৃষ্টির কারণে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে তিন শত হেক্টর জমির আমন বীজতলা জলাবদ্ধতায় বিনষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন ভূক্তভোগি কৃষকরা।
devdas-pic-2
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর ২০ হাজার ৩১০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা করা হয়েছে। নিম্ন চাপের প্রভাবে  মাসব্যাপী অতিবর্ষণের কারণে কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় তিন শত হেক্টর বীজতলা সম্পূর্ণ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তবে কৃষকদের মতে, প্রায় ৩শ’ হেক্টর বীজতলা পানিতে তলিয়ে রয়েছে। পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। সবচে’ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নসমূহ হলো, মিরুখালী, দাউদখালী ও ধানী সাফা ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের খালে বাঁধ ও স্লুইসগেট না থাকার ফলে নিম্নাচলে পানি ঢুকে কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। এতে লবণ পানির আগ্রাসনে আমন বীজতলা ক্ষতির সম্মূখীন।

জলাবদ্ধ কৃষি জমির লবণ পানি দ্রুত অপসারিত না হলে আমন বীজে নষ্ট হয়ে সংকট দেখা দেবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা। উপজেলার মিরুখালী ইউনিয়নের নাগ্রাভাঙ্গা গ্রামের কৃষক আবদুল হামিদ মোল্লা জানান,  তিনি এক একর জমিতে এবার আমন ধানের বীজতলা তৈরি করে বিপাকে পড়েছেন। জোয়ার ও বৃষ্টির কারণে বীজতলা ডুবে গিয়ে অর্ধেক বীজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাকে আমন আবাদ করতে নতুন বীজ ক্রয় করতে হবে।একই কথা জানান মিরুখালী ইউনিয়নের বড় শৌলা গ্রামের কৃষক মো. শাহ আলম আকন। তিনি বলেন, “পানির কারণে অত্র এলাকার কৃষকরা বীজতলা করতে পারেনি। ফলে চড়া দামে বীজ ক্রয় করে কৃষকদের আমন আবাদ করতে হবে।”

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে অতিবৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আশা করছি জলাবদ্ধ কৃষিজমির পানি অপসারিত হবে।”

happy wheels 2