সামাজিক বনায়নঃ সরকার ও কমিউনিটির অংশীদারিত্ব

তানোর, রাজশাহী থেকে শহিদুল ইসলাম শহিদ

উপজেলা বন বিভাগের সাথে মত বিনিময় সভা

উপজেলা বন বিভাগের সাথে মত বিনিময় সভা

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল গ্রামের ‘স্বপ্নের ভেলা’ তরুণ সংগঠনটি কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে আসছে। সামাজিক অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এ বছর বর্ষা মৌসুমে তাদের এলাকার পতিত জমিতে বৃক্ষরোপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তারই ধারাবাহিকতায় সংগঘঠনের প্রতিনিধিরা উপজেলার বনবিভাগে যোগাযোগ করেন। তাদের যোগাযোগের প্রেক্ষিতেই গত ৩০ মে, ২০১৭ তারিখে উপজেলা বনবিভাগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ও সহকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম রিশিকুল এলাকার সরকারী জায়গা, রাস্তার ধার ও খালের পাড় পর্যবেক্ষণ করেন। পর্যবেক্ষণ শেষে আজ ‘স্বপ্নের ভেলা’ সংগঠনের সাথে রিশিকুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত কৃষক ইউসুফ আলী মোল্লা, আনসার ভিডিপি ক্লাবের আয়নাল হক শান্ত, স্বপ্নের ভেলা সংগঠনের সভাপতি সোহেল আরমান সহ সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্যগন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হক (বুলু)।

গাছ আমাদের অর্থ দেয় ও পরিবেশ বাঁচায়। একই সাথে অক্সিজেনেরও ভান্ডার। আমাদের সকলের গাছ রোপন করা একান্ত নৈতিক দায়িত্ব। আমরা আমাদের প্রতিদিন যেখাবার খাই তা যে যতটুকু পারি সংরক্ষণ করতে থাকি- ভবিষ্যতের জন্য। কিন্তু প্রতি মিনিটে আমাদের যে পরিমাণ অক্সিজেন লাগে সে বিষয়টিতে আমরা পুরোপুরিই উদাসিন। অথচ গাছ আমাদের প্রতি মুহুর্তে অক্সিজেন ও নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে গাছ রোপন না করে আমরা নিধন করছি দিনকে দিন। ফলে দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা, পরিবর্তন হচ্ছে জলবায়ু। যদি আমরা পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক না রাখতে পারি, তাহলে প্রকৃতি আমাদের উপর বিরুপ আচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই প্রত্যেকের অবস্থান থেকে গাছ রোপনে অংশগ্রহণ করা জরুরী। শুধু গাছ রোপন করলেই হবে না তার পরিচর্যাও করতে হবে। এভাবেই বৃক্ষের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন, গোদাগাড়ী উপজেলার বনবিভাগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

পাশাপাশি তিনি সরকারের সামাজিক বনায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করেন। তিনি বলেন, রিশিকুল ইউনিয়নে (৫০০০০) পঞ্চাশ হাজার চারা রোপন করা হবে। যা সরকারী ভাবে বিনা মুল্যে চারা সরবরাহ করা যাবে। ব্যবস্থাপনা এবং দেখাশোনা করবেন এলাকার জনগন। যারা এই গাছগুলো তত্ত্বাবধান করবেন তারা গাছ বিক্রি করার সময় গাছের ৫৫% অংশ ভাগ পাবেন। পরিচর্যাকারীরা সেই স্থানে যদি গাছের বৈচিত্র্য বাড়াতে পারেন তাহলে সরকারী ভাবে বেশি বৈচিত্র্য রক্ষাকারীকে সরকারী ভাবে পুরষ্কার দেয়া হবে। সংগঠনকে এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে তিনি জানান।

‘স্বপ্নের ভেলা’ সংগঠনটি সরকারের এমন সেবাকে সাধুবাদ জানান। পাশাপাশি তারা এই সমাজিক বনায়ন এর সহযোগি হওয়ার জন আগ্রহ প্রকাশ করে। সংগঠনের সভাপতি সকলের সাথে আলোচনা ও সিদ্ধন্তের পর প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ বনবিভাগ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

happy wheels 2

Comments