সাম্প্রতিক পোস্ট

অচাষকৃত খাবার গুলো বিষমুক্ত

তানোর, রাজশাহী থেকে মো. শহিদুল ইসলাম শহিদ

রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের খড়িয়াকান্দি গ্রামে অনুষ্ঠিত হলো বৃক্ষরোপণ ও অচাষকৃত শাকসবজির পাড়া মেলা। খড়িয়াকান্দি গ্রামটি খাড়ির (খাল) পাড়ে অবস্থিত, আর স্থানীয়ভাবে খাড়িকে ‘খোড়া’ বলে থাকেন। তাই খোড়ার পাড়ের IMG_20170704_122432গ্রাম হওয়ায় গ্রামটির নামকরণ করা হয় খড়িয়াকান্দি। বর্তমানে প্রাকৃতিক মাছের বৈচিত্র্য কমে গেলেও খাড়িটি সারাবছর দেশীয় মাছের বৈচিত্র্য ধরে রেখেছে। তেমনিভাবে বর্ষাকালে খাড়ির পাড়ের পতিত জায়গায় শত রকমের বিভিন্ন প্রাকৃতিক উদ্ভিদ জন্মে থাকে। স্থানীয় অনেকেই খান, আবার কেউ ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার করেন।

আবার অনেকে নাম পর্যন্ত জানে না। ফলে কারো কাছে আগাছা হয়েই থেকে গেছে। অথচ গ্রাম অঞ্চলে এই বিষমুক্ত প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো খাবারগুলো মানুষের বড় ধরনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে আসছে। স্থানীয় এই সমস্ত অচাষকৃত খাবারগুলো রক্ষা ও বাড়িতে বিষমুক্ত ফল উৎপাদন করার লক্ষ্যে ‘খড়িয়াকান্দি প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি’র উদ্যোগে ‘বৃক্ষরোপণ ও অচাষকৃত পাড়া মেলা’ আয়োজন করা হয়। সেখানে নবীন ও প্রবীণ নারীদের সমন্বয়ে শাকসবজির নাম জানা ও প্রত্যেক শাকের মধ্যে যে গুনাগুণ আছে তা তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠাIMG_20170704_110829নে গ্রামের ৫০ জন নারী অচাষকৃত শাক সবজি নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। সেখানে সানছি, শুনশুনি, গিমা লইটা খুড়াসহ ৩৫ প্রজাতির অচাষকৃত শাকসবজি উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক নারী ও সহযোগিতাকারী সকল সদস্যদের হাতে দেশীয় বেদেনা, জলপাই, আমড়া, পেঁয়ারা ও কামরাঙা গাছের চারা তুলে দেওয়া হয়। স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য আরফান আলী ও সংগঠনের সদস্যরা নারীদের হাতে চারাগুলো তুলে দেন। তিনি বলেন, “চারাগুলোকে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করে বড় করতে হবে। তবেই আমাদের ফল এর অভাব হবে না।” তিনি আরো বলেন, “বাড়ির আশেপাশের শাকসবজিগুলো অবহেলা না করে প্রত্যেকের খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে এবং সেগুলো অবহেলায় নষ্ট না করে রক্ষা করতে হবে।”

happy wheels 2

Comments