শহরের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র এই শিশুপার্ক

শহরের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র এই শিশুপার্ক

এম আর লিটন, মানিকগঞ্জ থেকে

প্রতিদিন শিশুরা অভিভাবকদের সাথে এখানে আসে। শিশুরা দোলনায় ওঠে দোল খায়, দৌড়ায়, লাফালাফি ও খেলাধুলা করে ।শিশুদের অভিভাবকরাও জমিয়ে আড্ডা মারেন এবং অনেক বিনোদন উপভোগ করে।কারণ শহরে আর কোন জায়গা নেই, একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র এই শিশুপার্ক ।

মানিকগঞ্জ শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে, শহিদ রফিক সড়কের সাথে অবস্থিত এই পৌর মুক্তিযোদ্ধা শিশু পার্ক ।

Park-3

মানিকগঞ্জ শহরে বিনোদনের কোন জায়গা না থাকার ফলে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে শিশুদের বিনোদনের জন্য গড়ে তুলা হয় মুক্তিযোদ্ধা শিশু পার্ক ।এই পার্ক নির্মাণের শুরুতে ৩টি দোলন, চরকাসহ ৮-৯টি বিভিন্ন ধরণের রাইডার বসানো হয়েছিলো । শুরুতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় শিশুরা পার্কে এসে  খেলাধুলা, আনন্দ ও বিনোদন করতো ।

দুঃখজনক হলেও সত্য, সেই পার্কটি কিছুদিন যেতে না যেতেই অযত্নে আর অবহেলায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। আগাছা এবং স্টাম্প ভ্যান্ডারদের কাছে দখল হয়ে যায়।ফলে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। শিশুরা এখানে আসা যাওয়া বন্ধ করে দেয়।

আবার দীর্ঘদিন পর জনগণের আন্দোলন ও দাবির কারণে পার্কটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। সংস্কারের জন্য করা হয়েছে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় কাজ করা হচ্ছে।

Park-2

বর্তমানে পার্কে শিশুদের বিনোদনের জন্য মাটির তৈরি হাতি, ঘুড়া, সিংহ বাঘ, ডায়নাচর, জিরাফ, দোয়েল পাখি, বক পাখি এছাড়াও দোলনা, চরক, রাস্তা ও ফুল গাছ সহ বিভিন্ন রাইডার স্থাপন করা হচ্ছে। এদিকে শিশুরা দলে দলে অভিভাবক নেয়ে সকাল-বিকেল আসা-যাওয়া শুরু করেছে, আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠছে। পার্কটি এখনো উন্মুক্ত রাখা হয়েছে ।

Park

পার্ক সংস্কার কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান মামুন বলেন, “সংস্কারের পাশাপাশি পার্কটিতে রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখা হবে। পার্কটি সংস্কারের কাজ শেষ পর্যায়ে। আমরা আশা করি শিশু ও অভিভাবকদের আগমনে পার্কটি মিলন মেলায় পরিণত হবে।”

এছাড়াও, নাগরের যান্ত্রিক জীবনে একটু ভালোলাগা ও বিনোদনের খোঁজে কিছুটা খোলা আবহাওয়া ও স্বস্তি পেতে এই পৌর মুক্তিযোদ্ধা শিশু পার্কটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে সবার প্রত্যাশা।

happy wheels 2

Comments