খরস্রোতা ‘বড়াল’ এখন মরা খাল!

খরস্রোতা ‘বড়াল’ এখন মরা খাল!

ভাঙ্গুড়া, পাবনা থেকে মো. মনিরুজ্জামান ফারুক

এক সময়ের খরস্রোতা নদী ‘বড়াল’ এখন মরা খাল! নদীর তলদেশে চাষ করা হচ্ছে ফসলের। এ নদীটি রাজশাহীর চারঘাট,বাঘা, নাটোরের বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বাঘাবাড়ী হয়ে হুড়া সাগরে মিশে যমুনা নদীতে মিলিত হয়েছে।

Faruk Photo Bhangoora Pabna 20-03-18 (1)

জানা গেছে, এ অঞ্চলে ফসল উৎপাদন ও অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষার জন্য বড়াল নদীর উৎপত্তিস্থলে একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। এ ছাড়াও পরবর্তীতে আটঘড়ি, দহপাড়ায় ও পাবনার চাটমোহরে ক্রসবাঁধ নির্মাণ করা হয়। ফলে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় পদ্মার পলিযুক্ত পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বড়াল নদীতে বন্ধ থাকায় নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে। এতে করে নদীটির অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে পড়েছে। বর্তমানে নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় চলনবিলের ৮টি উপজেলার মধ্যে নৌ চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এ অঞ্চলে নদী কেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেমে এসেছে স্থবিরতা।

Faruk Photo Bhangoora Pabna 20-03-18 (2)

জানা যায়, সড়ক পথে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় এখানকার ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে নৌপথে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও আরিচাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পণ্য পরিবহন করে আসছিল। এখন নৌপথ বন্ধ থাকায় সড়ক পথে অধিক খরচে পণ্য পরিবহন করতে হয়। এছাড়া নদীর দু’পারে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর নির্মাণ করে নদী দখল করে চলেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

Faruk Photo Bhangoora Pabna 20-03-18 (3)

এদিকে দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফলে বড়াল নদী থেকে বাঁধ অপসারণের কাজ শুরু হয়েছে। গত ২০ মার্চ পাবনার চাটমোহর উপজেলার নুরনগরে ঘাটের পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণে ক্রসবাঁধ অপসারণের উদ্বোধন করেন পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম। এ সময় তিনি বলেন, “বড়াল নদী থেকে সব বাঁধ অপসারণ করে নদীটিকে সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

happy wheels 2

Comments