সাম্প্রতিক পোস্ট

প্রতিটি জীববৈচিত্র্য বেড়ে উঠুক তার আপন সত্ত্বায়

মানিকগঞ্জ থেকে রাশেদা আক্তার
প্রকৃতির উপর নানা ধরণের নেতিবাচক আচরণের ফলে প্রকৃতি আজ বিপর্যস্ত। সঠিকভাবে প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণের অভাবে প্রাণবৈচিত্র্য পড়েছে হুমকির মুখে। মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে রয়েছে একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। মানুষ যদি প্রকৃতির প্রতি বিরূপ আচরণ করে প্রকৃতিও তার প্রতিশোধ নিতে ভুল করেনা। কখনো কখনো প্রকৃতিও হয়ে উঠে খিপ্র। মানুষ সামাজিক জীব। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাকে আন্তঃনির্ভরশীলতার ভেতর দিয়ে টিকে থাকতে হ্েচ্ছ। এই আন্তঃনির্ভরশীলতা রয়েছে মানুষের সাথে মানুষের, মানুষের সাথে প্রকৃতির। প্রকৃতি যতই রুষ্ঠ হবে তার প্রভাব মানুষের জীবনকেও প্রভাবিত করবে।
“জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের এখনই সময়” প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে গতকাল ৫ জুন বারসিক’র উদ্যোগে নানা আয়োজনে পালিত হলো বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২০।
প্রকৃতিকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বিশ্বব্যাপি পালিত হয় পরিবেশ দিবস। জাতিসংঘ ১৯৭২ সালের অধিবেশনে সর্বপ্রথম বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেয়। তবে প্রথম পরিবেশ দিবস উদযাপিত হয় ১৯৭৪ সালের ৫ জুন। বর্তমানে বিশ্বের ১৫০ টিরও বেশি দেশে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হচ্ছে।
গতকাল সকাল ১১টায় মানিকগঞ্জের মেয়র এর কার্যালয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঘরোয়াভাবে এক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, বিশিষ্ট সমাজ সেবক এ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল ইসলাম ফারুক, প্রোগ্রাম অফিসার রাশেদা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনায় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী কামরুল হুদা সেলিম তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বারসিক’র এই আয়োজনকে স্বাগত জানাই। করোনার এমন সংকট মুহূর্তে তারা পরিবেশ নিয়ে ভাবছে। মানুষ প্রকৃতির সাথে অন্যায় করলে প্রকৃতি তার শাস্তি দিবেই। প্রকৃতি যেন আজ নতুন রূপ ফিরে পেয়েছে। আজকাল বজ্রপাতে অনেক প্রাণহানি হচ্ছে। বারসিক তাল গাছ রোপণ করে এটি ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। বারসিক’র এই ধরণের মহতী উদ্যোগে আমি সবসময় এই সংগঠনের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে চাই। এবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পৌরসভার পক্ষ থেকে শিব বাড়ি রাস্তা, লওখন্ডার রাস্তা ও বিভিন্ন বেরীবাঁধে আপনাদের সাথে নিয়ে বৃক্ষ রোপণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।’

এ্যাভোকেট দীপক কুমার ঘোষ বলেন, ‘বারসিক পরিবেশ, প্রকৃতি, পাখি রক্ষায় কাজ করে। আমরা ও প্রকৃতির সন্তান। প্রকৃতিকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। পরিবেশ রক্ষায় বারসিক’র প্রতিটি কর্মসূচিতে থাকার চেষ্টা করি। নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই থাকি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল ইসলাম ফারুক বলেন, ‘বর্তমানে আমরা খুব কঠিন সময় পার করছি। মহামারী করোনার এই সংকটময় মুহূর্তে আমাদের প্রত্যেকের একসাথে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করা উচিত। অন্যের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা উচিত।’
বিমল রায় বলেন, ‘বারসিক প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিবছর ১০ হাজার করে বৃক্ষ রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এবারও বিভিন্ন কর্মএলাকায় বিভিন্নভাবে জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ করা হচ্ছে। পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে আমরা সকলে একসাথে কাজ করতে চাই।”

happy wheels 2