সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকতে চাই
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
‘সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকতে চাই। হতে চাই মোরা তাদের না বলা কথা। চাই আলোর মশাল হতে, অন্ধকার ঘোচারার এগিয়ে যেতে চাই বহুদুর, যুদ্ধটা সমাপ্তির আশায়।’ কথাগুলো বলছিলেন হেল্প পিপল সংগঠনের সভাপতি আল রাশিদ রাহি। যেখানে করোনা মহামারিতে থেমে গেছে বিশ্ব থেমে গেছে কত মানুষের স্বপ্ন।
শিশুদের ছোট আনন্দের স্বপ্নগুলো থেমে গেলে সবকিছুই যেন মলিন হতে শুরু করে। ঈদের সময় শিশুদের আনন্দটা অনেক বড়। করোনাকালীন সময়ে অনেক কিছু থেমে গেলেও থেমে নেই হেল্প পিপল। সম্প্রতি তারা ছুটে যায় ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে স্বপ্ন পূরণ স্কুলে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সেখানে ‘‘হেল্প পিপল’’ শিশুদর নিয়ে গান, কবিতাতে আনন্দে মেতে উঠে। স্কুলের ৭০ জন শিশুকে তারা খাতা, কলম, সাবান উপহার দেয় ও সব শেষে দুপুরের খাবারের আয়োজন করে।
এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুদের সঠিকভাবে হাত ধোয়া শেখানো ও মাস্ক ব্যবহারের সঠিক নিয়মও শেখানো হয়। শিশুদের এ আনন্দ ছিল দেখার মতন।
স্বপ্নপূরণ স্কুলে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বিনে পয়সায় লেখাপড়া করে। স্বপ্নপূরণ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ডা: আমানুল্লাহ আক্তার বিন আবিদ। তিনি স্বপ্ন দেখেছেন সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরকে সুশিক্ষাই শিক্ষিত করে তোলার।
আমরা বিশ্বাস করি হয়তো এ স্কুল থেকেই একদিন তৈরি হবে দেশ সেরা উজ্জ্বল নক্ষত্র।