অনাবৃষ্টি ও খরা মোকাবেলায় পানি ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে
রাজশাহী থেকে মো: শহিদুল ইসলাম:
একদিকে যেমন ভূউপরিস্থ্য পানির উৎস কমে গেছে, অন্যদিকে অনা বৃষ্টি ও খরার কারনে পানির স্তর নীচে নেমে যাচ্ছে। এই সংকটকে মোকাবেলা করতে সুস্থ্য পানি ব্যবস্থাপাকে কাজে লাগাতে হবে। কথাগুলো বলেন রাজশাহী বিশ্বিবদ্যালয়ের খনিজ পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক চৌধুরী সারোয়ার জাহান। ৩ মে সকাল ১১ ঘটিকায় বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এর আয়োজনে “ অনাবৃষ্টি ও মহামারী: আর কতো সংকট” শীর্ষক অনলাইন ভিত্তিক জাতীয় সংলাপে বাংলাদশের বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষক-কৃষাণী, যুব, শিক্ষক-শির্ক্ষার্থী, উন্নয়নকর্মী, গবেষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এতে সভাপ্রধান হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের পরিবেশ বাঁচাও আন্দোন(পবা) এর চেয়ারম্যান আবু নাছের খান। প্রধান আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের খনিজ পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক চৌধুরী সারোয়ার জাহান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করে নিজ নিজ এলাকার অনাবৃষ্টি ও মহামারী, পানি সংকট , সমস্যা সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন।
অংশগ্রহণকারীরা বর্তমান সময়ে অনাবৃষ্টি এবং খরার কারনে একই সাথে করোনা মহামারীর কারনে নানা সংকটগুলো তুলে ধরেন। স্থানীয় পানি ব্যবস্থাপনা নষ্ট হবার কারনে খরার সময় কৃষকসহ স্থানীয় মানুষের সমস্যা বেড়ে গেছে। তাই এরকম দূর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় প্রাকৃতিক জলাধার যেমন নদী, খাল, খাড়ি সংস্কার সও খননের দাবি জানান। একই সাথে ভুগর্ভস্থ্য পানি উত্তোলনের সীমিত করার তাগিদ দেন। বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষানী পূর্ণিমা রানী বলেণ- খরায় সািঠক সময়ে শাকসবজি লাগাতে পাচ্ছিনা, ফলমুল ঝরে পড়ছে, ছোট হয়ে যাচ্ছে, অকালে পরিপক্ক বা রোগ বালাই বেশী ধরতেছে। সাতক্ষিরার কৃষক দিলিপ তরফদার বলেন- অনাবৃষ্টি ও খরার কারনে ফসল সহ গবাদি পশু পাখি সবকিছু রোগবালাই বেড়ে গেছে । এমন কি মানুষের। তিনি আরো বলেন- একদিকে পানি নেই অন্যদিকে করোনার কারনে সুন্দরবনের বনোজীবীরা জীবীকার সন্ধানে বনেও যেতে পাচ্ছে না। খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ। অংশ্রগ্রহণ করেন অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তাফা, কৃষিবিদ রওশন আলম, বারিসকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ও স্টাফগণসহ সেই অঞ্চলের জনগোষ্টী। জাতীয় এই সংলাপটি আয়োজনে সহায়তা করে বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল।