কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা বাস্তুতন্ত্রকে সুরক্ষা করে
নেত্রকোনা থেকে সোয়েল রানা
প্রান্তিক কৃষকদের অধিকার সুরক্ষা, কৃষকের স্থানীয় বীজসম্পদ সংরক্ষণ, কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা, জৈবকৃষি চর্চা, ভূ-গর্ভের পানির ব্যবহার কমিয়ে আনা, ফসলবৈচিত্র্য বৃদ্ধি করা, জৈবকৃষি চর্চাকে সম্প্রসারণ, রাসায়নিক কৃষিকে না বলা, বৈচিত্র্য ও আন্তনির্ভরশীলতা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, কৃষকের মাঝে সচেতনতা তৈরি, জলাধারগুলোকে খনন ও সুরক্ষা করা, জনআন্দোলন শুরু করা, মাটিকে ভালো রাখা, জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করার বিষয়কে সামনে রেখে বেসরকারী গবেষণা সংস্থা বারসিক’র সহযোগিতায় “রাজেন্দ্রপুর কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের” আয়োজনে কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা অনুশীলন শীর্ষক এক কর্মশালা অনুূিষ্ঠত হয়েছে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন চল্লিশা ইউনিয়নের ৮ গ্রামের শতবাড়ি মডেল ব্যবস্থাপক ও কেঁচো কম্পোস্ট চর্চা ও ব্যবহারকারী ২০ জন কৃষক-কৃষাণী।
প্রথমেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রাজেন্দ্রপুর কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক আম্বিয়া আকতার ও আই পিএম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ। তারপর প্রত্যেকেই নিজ নিজ পরিচয় তুলে ধরেন।
পরিচয় পর্বে নিজ এলাকার কৃষি,পরিবেশ, ফসলবৈচিত্র্য, নদী, হাওর, জলাধার, গাছ, মাছ, প্রাণিসম্পদ, মাটি, পানি, বায়ু, বর্তমান পরিস্থিতি ও অতীতের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। কর্মশালায় সহায়ক বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান কৃষি প্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ূ ন্যায্যতা ও খাদ্য সার্বভৌমত্ব বিষয়ে আলোচনার পর অংশ্রহণকারীরা নেত্রকোনা অঞ্চলের কৃষিপ্রতিবেশ সংকটের বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
আলোচনায়‘ কৃষককৃষাণীরা কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে নেত্রকোনা অঞ্চলে দুর্যোগ, কৃষিফসলের ক্ষেত্রে সংকট, বৈচিত্র্যতা কমে যাওয়াসহ প্রকৃতিগত সামগ্রিক এসব সামগ্রিক বিষয়গুলো উঠে আসে। আলোচনায় মদিনা আকতার বলেন, “আমরা নিজের জ্ঞানে অনেক কাজ করে থাকি, আমাদের পরিবারে যে কৃষি কাজ করি এগুলো নিরাপদ,তবে আমরা ফসলের মূল্য পাইনা, বেচতে গেলে দাম কম, কিনতে গেলে দাম বেশি।” কৃষাণী তাহমিনা বলেন, বাসায়নিক সার ব্যবহার কমাইয়া দিছি। আমি যে কম্পোস্ট সার উৎপাদন করি নিজে ব্যবহার করি বিক্রিও করি। ”
কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা চর্চা মাটিকে ভালো রাখে। মাটিতে বিদ্যমান বিভিন্ন অণুজীবকে বাঁচিয়ে রাখে,পরিবেশকে সুরক্ষা রেখে বাস্তুতন্ত্রকে পূনরুদ্ধার করে। ‘শতবাড়ি ও কৃষিপ্রতিবেশবিদ্যা শিখন কেন্দ্রকে আরো সমৃদ্ধ করণ ও উপযোগি করার বিষয়ে আলোচনা করেন আইপিএম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ। সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপ্রধান সভার কাজ শেষ করেন।