নগরপ্রান্তিক শিশুদের সাথে নতুন বছর উদযাপন
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
নতুন বছরকে কেন্দ্র করে নগরপ্রান্তিক শিশুদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে “হারিয়ে যাওয়া শৈশবে ফিরে যাই তাদের সাথে” শিরোনামে একদিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে টাটকা ফাউন্ডেশন।
১৪ জানুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজশাহীর বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে টাটকা ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে এবং বারসিক, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম ও সমমনা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হলো নগরপ্রান্তিক শিশুদের নতুন বছর উদযাপন ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠান।
সারাদিনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মনোবিকাশ ও “কেমন নগর চাই” বিষয়ক চিত্রাঙ্কন, খেলাধুলা, আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়। দিনটি ছিলো নগরপ্রান্তিক শিশুদের জন্য স্বপ্নময় ও আনন্দঘন।
অনুষ্ঠানে বহরমপুর বস্তি এলাকার ৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে নিয়ে চিত্রাঙ্কন, খেলাধুলা, নাচ, কবিতা, গানসহ বিভিন্ন আনন্দমুখর কার্যক্রমের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করা হয়। টাটকা ফাউন্ডেশনের তরুণ সদস্যরা শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন এবং তাদের জন্য এই আনন্দঘন আয়োজন সম্পন্ন করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল কিবরিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শিখা সরকার, বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী গবেষক মো. শহিদুল ইসলাম, সেভ দ্যা ন্যাচার অ্যান্ড লাইফ-এর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান এবং রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সিকান্দার আলী।
বক্তারা বলেন, “আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যারা আজ সুবিধাবঞ্চিত, তারাই আগামী দিনে দেশের নেতৃত্বে আসতে পারে। তাদের মেধা ও মনন বিকাশের জন্য সমাজের প্রত্যেক মানুষের উচিত এগিয়ে আসা এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো। একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষের সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন।”
টাটকা ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখার আশা প্রকাশ করেছেন।
টাটকা ফাউন্ডেশন মূলত ডিপ্রেশন রিলিফ এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদান নিয়ে কাজ করে। “সতেজ মন, উদ্দীপ্ত জীবন” এই স্লোগানে তারা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে কাজ করে যাচ্ছে। নগরপ্রান্তিক শিশুদের মনোবিকাশে কাজ করার জন্য তারা স্বপ্নবৃত্ত নামে একটি স্কুল কার্যক্রম পরিচালনা করে।
স্বপ্নবৃত্ত স্কুলটি বিকালে নগরপ্রান্তিক শিশুরা স্কুল শেষে আসে, যেখানে তারা পড়াশোনার সহায়তা পায়। এর উদ্দেশ্য হলো যেন শিশুদের আলাদা করে প্রাইভেট টিউশন লাগবে না। পাশাপাশি শিশুদের নৈতিক শিক্ষা, সাংস্কৃতিক মনোভাব এবং সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমে তাদের মনোবিকাশে কাজ করা।