কৈশরের আনন্দ
চাটমোহর, পাবনা থেকে ইকবাল কবীর রনজু
সকাল সাড়ে দশটা। কয়েক দিন আগের কথা। কাটেঙ্গা উত্তরপাড়া পিডি এস উপ আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে ছেলে মেয়েদের জটলা। ১১টায় ক্লাস শুরু। ক্লাস শুরুর আগে তাই বৌছি খেলায় ব্যস্ত দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুবর্ণা, মুহিন, সোনিয়া, শেফা, যুথি, রিতা, মিম, রিতু, উর্মি, জয়িতাসহ অনেকে।
যারা খেলছে না তারা চারপাশে দাঁড়িয়ে খেলা দেখার মজা উপভোগ করছে। পায়ের স্যান্ডেলগুলো একত্র করে সামনের সীমা রেখার মাঝে রেখেছে বৌ এর প্রতীক হিসাবে। এক একবার ছি দিয়ে যতক্ষণ দম থাকে এ সময়ের মধ্যে বিপক্ষ দলকে ফাঁকি দিয়ে এক একটি স্যান্ডেল (প্রতিকী বৌ) নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। অপর পক্ষ দম ফুরোলেই তাকে ছুয়ে দেবার বা ধরে রাখবার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীরা জানান, তারা বৌছি ছাড়াও কানামাছি, বরফ পানি, হালুয়া টাইট, বদন, পলান টু, দুধভাতসহ বিভিন্ন নামের মজার মজার খেলা থাকে। স্কুলটির শিক্ষিকা শরিফা খাতুন জানান, পড়ানোর জন্য দুইটি ব্যাচ আছে এখানে। প্রথম শ্রেণীর প্রথম ব্যাচকে ৮টা থেকে দশটা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর ব্যচে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত পাঠ দান করা হয়। ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষার্থীরা কখনো কখনো গ্রাম্য খেলাধুলা করে থাকে।
চাটমোহরের জার্দিসমোড়- মান্নান নগর সড়কের কুঁজোর মোড় থেকে বিন্যাবাড়ির দিকে চলে গেছে গ্রামীণ মেঠো পথ। এ পথের পাশর্^বর্তী খালগুলোয় জমে আছে বন্যার অবশিষ্ট পানি। এ খালের পানিতে মাছ ধরতে দেখা যায় স্কুলে পড়ুয়া ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের।
চাটমোহরের- মান্নান নগর সড়কের বওশা ঘাট পেরুলেই চলনবিলের শুরু। বিলের পানিতে মাছ ধরা শিশু কিশোরদের জন্য অতি আনন্দেও একটি বিষয়। সম্প্রতি তিন কিশোরকে মনের আনন্দে হাত দিয়ে উন্মুক্ত জলাশয়ে এভাবেই মাছ ধরতে দেখা যায়।