সাম্প্রতিক পোস্ট

প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপণ করি,সবুজ পৃথিবী গড়ি

সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে শাহীনুর রহমান:

প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপন করি,সবুজ পৃথিবী গড়ি স্লোগানের আলোকে পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষ রোপণে সচেতনতা ও জন উদ্যোগ তৈরিতে সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের ৭,৮, ও ৯নং ওর্য়াডের বড় কালিয়াকৈর, ছোট কালিয়াকৈর, নবগ্রাম এবং বাংগালা ৪টি গ্রামে ফলজ,বনজ, ওষুধি বৃক্ষ রোপণ কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।

বারসিক’র সহায়তায় ছাত্র ও যুবদের উদ্যোগ ছাত্র ও যুব কল্যাণ উন্নয়ন সংঘ কর্মসূচি আয়োজন করে।সংগঠনের সভপতি শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে প্রধান আলোচক ছিলেন বলধারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুল মাজেদ খান, বিশেষ আলোচক ছিলেন বীরমুক্তি যোদ্ধা ওসমান গনি আসমান, বড় কালিয়াকৈর পল্লী উন্নয়ন যুবক সমিতির সভাপতি মো. ইংরাজ আলী, ইউপি সদস্য মো. হযরত আলী, মো. বাবুল মিয়া, বারসিক কর্মকর্তা শিমুল কুমার বিশ্বাস। আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্র ও যুব কল্যাণ উন্নয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, হায়দার আলী (তারা) মোঃ হাবিব, আল মামুন, নাইম হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, জুনায়েদ জিয়া, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।

প্রকৃতি ও পরিবেশের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা বলেন, ‘দিন দিন গাছপালা কর্তন ও পরিবেশের উপর অত্যাচার যত বাড়ছে, ততই কমছে বনভূমি, ক্ষুব্ধ হচ্ছে প্রকৃতি, আবহাওয়া হয়ে উঠছে চরমভাবাপন্ন, বাড়ছে রোগবালাইয়ের প্রভাব, বাড়ছে দুর্যোগ-দুর্ভোগ। কিন্তু গাছ ও পরিবেশের মধ্যে একটা নিবিড় সম্পর্ক অন্তর্নিহিত।’ তারা আরও বলেন, ‘গাছ আমাদের পরম বন্ধু। কিন্তু আমরা কতটুকু যত্নশীল সেই বন্ধুর প্রতি? আমরা কোনো কারণ ছাড়াই অথবা সামান্য কারণ দেখিয়ে বন উজাড় করে ফেলছি।কিন্তু পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য মোট আয়তনের অন্তত ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা জরুরি।পরিবেশ রক্ষায় প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের দেশে বৃক্ষ অনেক কম। তাই সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর বৈচিত্র্যময় বৃক্ষ রোপণ করা জরুরি।’

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘যুবশক্তির মাধ্যমের দেশের উন্নয়ন সম্ভব।যুবদের সকল ভালো কাজে আমার সহযোগিতা সব সময় থাকবে।পতিত জমি, রাস্তা-নদী-খালের পাড়, বাড়ির আঙ্গিনা, মাঠ-ঘাট, বাড়ি-অফিসের ছাদ; সব জায়গায় হোক সবুজের আবাদ।নিজে গাছ লাগান, অন্যকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করুন।’ তিনি আরো বলেন, ‘বৃক্ষ ছাড়া আমাদের পৃথিবীতে বসবাস চিন্তা করা যায় না। পৃথিবীতে মানুষের খাদ্য, ঔষধ, বস্ত্র, ঘরবাড়ি তৈরি, মাটির ক্ষয়রোধ, আবহাওয়া ও জলবায়ু সঠিক রাখা, পরিষ্কার পানি প্রবাহ নিশ্চিত করা, কৃষিজমির উৎপাদন বৃদ্ধি করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের কল্যাণ সাধন ও বেকারত্ব দূর করার ক্ষেত্রে বৃক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাছ না থাকলে পৃথিবীর মধ্যে বন ও বন্যপ্রাণী থাকতো না।পরিকল্পিত একটি বাগানেই হতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের আয়ের উৎস। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ গড়ে তুলতে হলে বৃক্ষরোপণকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে।’

ছাত্র ও যুব কল্যাণ উন্নয়ন সংঘ সভাপতি শামীম হোসেন চেয়ারস্যান মহদোয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা যুবরা নিজেরা অর্থ সংগ্রহ করে আম, জাম, কদবেল, নোনা ফল, চালতা, আমড়া, জলপাই, কাঁঠাল, বেল, বকুল, আমলকি, নিম, অর্জুন, মেহগনি, পাম, ১৫টি জাতের বৃক্ষ সংগ্রহ করি।বারসিক’র পরামর্শে আমরা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।আমরা ইউনিয়ন ব্যাপি বৃক্ষ রোপণ করতে চাই,আমাদের এই কাজের সাথে আরোও মানুষের যুক্ততা বাড়াতে ভিডিও ডকুমেন্টারি করছি সকল মানুষ যেন জানতে পারে। যেখানে আপনার সর্বপ্রকার সহযোগিতা কামনা করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘পৃথিবী বাঁচাতে আমরা প্রতিবছর অন্তত একটি করে গাছ লাগাই। অভ্যাসে পরিণত হোক বৃক্ষরোপণ। অনেকের হয়তো গাছ লাগানো মতো জায়গা নেই। আপনার বারান্দা হয়ে ওঠতে পারে সবুজ; ব্যবহার করতে পারেন ছাদ, প্রিয়জনকে উপহার দিতে পারেন গাছ, সন্তানকে নিয়ে গাছ লাগাতে পারেন বাড়িতে। আপনার শিশুকে সাথে নিয়ে বৃক্ষরোপণের কর্মসূচিতে যোগ দিন, উৎসাহী করুন তাকে।’ উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান বলধারা ইউনিয়নে যেকোন জায়গায় বৃক্ষ রোপণে উপস্থিত থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং আরো বেশি করে বৃক্ষ রোপণে উৎসাহিত করতে তাৎক্ষণিকভাবে ৫ হাজার টাকা সহায়তা করেন।

happy wheels 2