মণিঋষিগণ শিক্ষা বৃত্তি পেয়ে খুশি
হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ থেকে সত্যরঞ্জন সাহা,
একটি উদ্যোগ পাল্টে দেয় অনেক কিছুই। এমনই এক উদ্যোগের ফলে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের কালই মণি ঋষিদের আনন্দের সীমা নেই। কালই মণিঋষিদের নিয়ে গড়ে ওঠা ‘শিক্ষা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের” ৩৭ জন্য শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ বৃত্তি প্রদান উপলক্ষে সম্প্রতি স্থানীয় শিক্ষা স্বাস্থ্য কেন্দ্র মাঠে বৃত্তি ও শিক্ষকদের বেতন প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা আলোচনায় জানান, পরিবারের লোকজন লেখাপড়া না জানায় মণিঋষিগণ শিক্ষা থেকে পিছিয়ে আছে। স্থানীয় মানুষের জনউদ্যোগে শিক্ষা স্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে উঠার ফলে মণিঋষিদের সন্তানদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে তারা লেখাপড়া করে সুনাম অর্জন করছে। সমন্বিত উদ্যোগে স্কুলটি তৈরিতে মণিঋণি সম্প্রদায়, সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল। তেমনিভাবে শিক্ষা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়নে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃর্ত টাকা স্কুল উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বরাদ্দকৃর্ত সম্পূর্ণ অর্থ শিক্ষার্থী-শিক্ষকের বেতন ও স্কুল উন্নয়নে খরচ করা হবে। আলোচকরা সরকারের এই সহযোগিতার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা “কালই মনিঋষি শিক্ষা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য” বরাদ্দকৃত অনুদান দুই লাখ ষাট হাজার টাকা। হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবিনা ফেরদৌসী উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের ৬ মাসের বেতনের টাকা এবং ৩৬ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ১২০০ টাকা করে মোট একানব্বই হাজার দুইশত টাকা টাকা বিতরণ করেন। বাকি ৬ মাসের টাকা ছাত্র-শিক্ষকদের বেতন ও স্কুল উন্নয়নে ৫ মাসের মধ্যে খরচ করা হবে। শিক্ষা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্য অনুদান বরাদ্দ আসে ছাত্র-শিক্ষদের বৃত্তি, বেঞ্চ তৈরি, অনুষ্ঠান বাবদ খরচ।
শিক্ষা বৃত্তি ও শিক্ষকের বেতন বিতরণ অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কালই শিক্ষা স্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্যোক্তা নিত্য সরকার, বারসিক’র প্রোগ্রাম অফিসার সত্যরঞ্জন সাহা, আনন্দমোহ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সেলিম মোল্লা, বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার প্রমূখ। এসময় তারা মণিঋষিসহ চরের মানুষের জীবন ও জীবিকার উন্নয়নের জন্য নানান দাবি তুলে ধরেন।