বঙ্গবন্ধু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ পুরস্কার-২০১৬ পেলেন পাখি্প্রেমিক হেবজুল ইসলাম
রাজশাহী থেকে শহিদুল ইসলাম
নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলার বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির সদস্য মো. ইউনুসার রহমান (হেবজুল), এলাকার মানুষ তাঁকে পাখি প্রেমী হেবজুল বলেই চিনেন । চলতি বছরে তিনি ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন-২০১৬’ পুরুষ্কার পেলেন। নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় পাথিবান্ধব পরিবেশের জন্যে তিনি দিনের পর দিন বিভিন্ন পর্যায়ে নিঃস্বার্থ কাজ করে যাচ্ছেন । একই সাথে স্কুল কলেজ এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পাখির নিরাপদ খাদ্য ও আবাস রক্ষায় সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তরুণসহ নতুন প্রজন্মের মধ্যে পাখি ও বন্যপ্রানী রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তারি এই নিঃস্বার্থ শ্রম ও উদ্যোগ তাকে পুরুষ্কারে ভূষিত করেছে। এতে করে তিনিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী অনুরাগী মানুষ ও প্রেমিকরাও উৎসাহিত হবেন। এতে করে রক্ষা পাবে প্রাণ ও প্রকৃতি।
পাখিসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও রক্ষা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমার গ্রামে আর কোন পাখি শিকারি ঢুকতে পারেনা । গত বছর আমি শিকারীদের রাইফেল কেড়ে নিয়েছিলাম।” তিনি পাখির কোন সমস্যা হলে ঠিক থাকেন না। নিজের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালান পাখি রক্ষার জন্যে। উল্লেথ্য যে, বিগত ৫ জুন, ২০১৬ তারিখে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে পুইয়া স্কুল মাঠে বারসিক ও পত্নীতলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কমিটির যৌথ ক্যাম্পেইনের মধ্যে দিয়ে পত্নীতলার পৌরমেয়রের অংশগ্রহণে ও পত্নীতলা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় পত্নীতলা উপজেলাকে পাখির অভয়রান্য ঘোষণা করা হয়।
জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিটির বর্তমান সভাপতি শ্রী সুমন কুমার শীল বলেন, “হেবজুল ভাই আমাদের আদর্শ । ওনার আগ্রহ এবং প্রচেষ্টার কারণে আমরা এ পর্যন্ত পত্নীতলার কাঞ্চন দিঘি, নাগাড় গোলা, কদম কুড়ী, চানপুকুর মিশন, হোসেনপুর, মিন্টো বাজারসহ সাতটি গ্রামে বক, ঘুঘু, ডাহুক, বাদুর, শামুকখোলসহ নানাজাতের পাখির নিরাপদ আস্থানা তৈরী করতে পেরেছি । এলাকার মানুষও এখন অনেক সচেতন হয়েছে । তারা আর পাখি শিকার করেনা বা অন্যকেও করতে দেয়না।