বয়োঃসন্ধিকালে সন্তানদের সাথে বন্ধুর মত আচারণ করাটা দরকার
মানিকগঞ্জ সিংগাইর থেকে আছিয়া আক্তার
মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের পাঁছপাড়া গ্রামে বকুলফুল কিশোরী ক্লাবের উদ্যোগে, বারসিক’র সহায়তায় সম্প্রতি কিশোরীদের বয়োঃসন্ধিকালসহ নারীর স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি মোকাবেলায় করণীয় বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
বকুলফুল কিশোরী ক্লাবের সভাপতি মহুয়া সারমিনের সভাপতিত্বে এবং বারসিক প্রকল্প সহায়ক আছিয়া আক্তারের সঞ্চালনায় উক্ত কর্মশালায় কিশোরী ক্লাবের সহ-সভাপতি বর্ষা আহমেদ উমির্ সদস্য ইশিতা আক্তার, সামান্তা আক্তার, স্বপ্না আক্তার সহ নারীরা যুক্ত থাকেন এবং প্রশিক্ষণটি প্রদান করেন পরিবার পরিকল্পনা সহকারি খালেদা আক্তার।
খালেদা বলেন, ‘মেয়েদের বয়োঃন্ধিকাল ১০ এবং ছেলেদের বয়ঃসন্ধিকাল ১২ থেকে শুরু হয়। এটা অনেক সময় স্বাস্থ্য ভালোর কারণে আগে পরেও হয়ে থাকে। এ সময় প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজিসহ দেশীয় ফল খেতে হবে। কচুশাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে তাই প্রচুর পরিমাণে এ শাক খেতে হবে। গাজর, পেয়ারা খেতে হবে। আয়রণ ট্যাবলেট খেতে হবে। তিন ভাগ সবজি আর এক ভাগ ভাত খেতে হবে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেতে হবে, কেননা ‘সি‘ যুক্ত খাবার দাঁত মজবুতসহ চেহারা সুন্দর করে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ সময় শরীরের বৃদ্ধি ঘটে। ছেলেদের কন্ঠ স্বরের পরিবর্তন হয় । তাই পরিবারের মা বাবাসহ বড়দের যতœশীল হতে হবে । এ সময় তাদের মনেরও পরিবর্তন হয়। তাই তাদের সাথে বন্ধুর মত আচারণ করাটা খুব দরকার। পিরিয়ডকালীন সময় স্যানেটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে হবে। অভিভাবকদের উচিত ন্যাপকিন কিনে দেয়া। যদি কেউ নেকড়া ব্যবহার করে তবে তা ধুয়ে কড়া রোধ শুকাতে হবে। একবারের বেশি কোন নেকড়া ব্যবহার করা যাবে না। এটি কোন লজ্জার বিষয় নয় সুস্থ থাকতে হলে আমাদের জানতে হবে, সচেতন হতে হবে। কেননা অসচেতনতার কারণেই মূলত জরাযুর বিভিন্ন সমস্যাসহ ক্যান্সার হয়ে থাকে।’