জেলা বিপনন অফিসের সাথে শতবাড়ি মডেলের কৃষকদের মতবিনিময়
নেত্রকোনা থেকে মো. অহিদুর রহমান
নেত্রকোণা সদর উপজেলার বামনমুহা, বিশ্বনাথপুর, চল্লিশা, মইনপুর কাইলাটি, দরুণবালি, বাহিরচাপরা, ফচিকা, অরঙ্গবাদ, বালুয়াকান্দা গ্রামের ১৫ জন শতবাড়ি মডেলের কৃষক, সবজি চাষী ও বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক’র অংশগ্রহণে গতকাল নেত্রকোণা জেলা বিপনন অফিসের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নেত্রকোণা জেলা বিপনন কর্মকর্তা হাবিল উদ্দিন। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন দড়িজাগি গ্রামের হরিশ্চচন্দ্রশীল, বামনমুহার দুলাল মিয়া, কৃষক আ: কাইয়ুম, ফারুক আহমেদ, ইসলাম উদ্দিন, দরুণবালির জগদ্বীশ সরকার, মইনপুরের হাবিবুর রহমান, বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান, মেছুয়াবাজার ব্যবসায়ী সমিতির কর্তকর্তা আব্দুস সামী সৌরভসহ কৃষক নেতাগণ।
প্রথমে কৃষকগণ শতবাড়ির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন ও নিজ নিজ বাড়িতে সবজিচাষ ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। উদ্যোগী কৃষকেরা নিজ বসতভিটা ও নিজ জমিতে যেসব সবজি উৎপাদন করেন সেসব সবজি চাষ করতে যে খরচ হয় বাজারমূল্য সেভাবে পান না। এই প্রসঙ্গে বামনমুহা গ্রামের কৃষক দুলাল মিয়া বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে ,বর্ষাকালে বর্ষা হয় না,সময়মতো বৃষ্টি হয় না, গরম পড়ে অনেক বেশি, এলাকার চাতলগোবিন্দতে জলাবদ্ধতা। তাই আমি ভাসমান সবজি চাষ করি গত তিনবছর ধরে। এভাবে ফসল চাষ করতে খরচ বেশি। তবে আগামি দিনগুলোতে আবাহাওয়া ও জলবায়ুর সাথে যুদ্ধ করেই আমাদের ঠিকে থাকতে হবে।’
বিপনন কর্মকর্তা হাবিল উদ্দিন বলেন, “আপনারা বাড়ির জায়গাকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সারাবাছর যে সবজি ও ফল উৎপাদন করেন সেগুলোর গুরুত্ব রয়েছে নিরাপদ খাদ্য হিসেবে এবং এসব খাদ্যের যথাযথ মুল্য পাওয়া উচিত। আমাদেরকে দুর্যোগ মোকাবেলা করেই কৃষিকাজকে এগিয়ে নিতে হবে। তবে আমাদের ন্যায্যমূল্য পেতে হলে আপনাদেরকে আরো সচেতন ও চোখ কান খোলা রাখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শস্যপ্রক্রিয়াজাত ও শস্যের রুপান্তর করে আরো বেশি মূল্য পেতে পারি। ধানকে চাল কওে বিক্রি করলে বেশি মুল্য পাবো। আমরা যদি একটি সংগঠনের মাধ্যমে কালেকশন পয়েন্ট তৈরি করে নিজেদের উৎপাদিত ফসল একত্রে রেখে আড়তের সাথে যুক্ত হতে পারি আরো বেশী লাভবান হতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি ‘সদাই’ নামে ওয়েব সাইড আছে সেখানে আপনাদেরকে যুক্ত করে দিলে আপনারা নিজেদের উৎপাদিত ফসল বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন ও বেচতে পারবেন।’ তিনি বিশ্বনাথপুর ও ফচিকা কৃষক পর্যায়ে গ্রামে দুটি কালেকশন পয়েন্ট তৈরী করে দেয়ার কথাও বলেন।