সাম্প্রতিক পোস্ট

কমে যাচ্ছে হরিতাল

মানিকগঞ্জ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ॥

গ্রামের পথঘাট ও হাট, বাজারের প্রাচীন বট-পাকুড় গাছ কমে যাওয়ায় খাদ্যের অভাবে  গ্রামাঞ্চলে হরিতাল পাখির সংখ্যা একবারেই কমে গেছে। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পুখুরিয়া এলাকায় সম্প্রতি এক বট গাছে দেখা মিললো সদ্য ঘুমভাঙা হরিতালের। প্রিয় খাবার “বটফল” খেতে গাছের ডালে ব্যস্ত।

হরিতাল- এ দেশে বটকল, বড় হরিয়াল, হলদে পা হরিয়াল বা হলদে পা সবুজ কপোত নামে পরিচিত। ইংরেজি নাম Yellow-footed বা Yellow-legged Green Pigeon। বৈজ্ঞানিক নাম Treron phoenicoptera। এদের পাঁচটি উপ-প্রজাতির মধ্যে এ দেশে শুধু Treron phoenicoptera phoenicoptera উপ-প্রজাতিটির দেখা মেলে।

horitol-bird
কবুতর প্রজাতির হরিতাল সাধারণত লম্বায় ২৫ থেকে ৩৩ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এদের দেহের ওপরের অংশের রঙ হালকা ধূসর। ঘাড়ে লালচে ছোপ ও ডানায় সবুজাভ কালোর ওপর হলদে টান রয়েছে। বুকের নিচের অংশ, পেট ও তলপেট ধূসর। কাঁধে এক ফালি হালকা বেগুনী রঙ। লেজের ওপরের অংশের গোড়ায় জলপাই-হলদে বলয় থাকে। চোখের আইরিশের ভেতরের বলয়টি নীল ও বাইরেরটি গোলাপি। ঠোঁটের রঙ হালকা সবুজাভ। পা ও পায়ের আঙুল চকচকে হলুদ।

এরা মূলত আর্দ্র পাতাঝরা বন, কৃষিজমি, বাগান প্রভৃতি এলাকায়, যেখানে ছোট ছোট নরম ফলের গাছ, যেমন-বট, পাকুড়, খোকসা, জগডুমুর, আম, বকুল, বউলা গোটা এজাতীয় গাছে বাস করে। কিন্তু বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে এদের সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। এরা সকাল ও সূর্যাস্তের সময় খাদ্য সংগ্রহে বেশ তৎপর থাকে।

happy wheels 2