যাত্রী হয়রানী বন্ধ করতে হবে

যাত্রী হয়রানী বন্ধ করতে হবে

বারসিক নিউজডেক্স
বিআরটিএ কর্তৃক পূর্বনির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বন্ধের দাবিতে গতকাল পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), বারসিক, ডাবিøউবিবি ট্্রাস্ট, বাংলাদেশ হর্কাস ফেডারেশন ও ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে ও বানিপা’র সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হকার্স লীগের সভাপতি এম এ কাশেম, পবার সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ উজ্জল, বারসিকের সমন্বয়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ, গ্রীণ ফোর্সের সমন্বয়ক মেসবাহ সুমন, নাসফ এর সহ সম্পাদক মো. সেলিম, বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব শাকিল রেহমান, সেভ দ্য রোড এর যুগ্ম মহাসচিব মো: হাসিবুল হক, সুজন ঢাকা মহানগরের সহ সভাপতি নাজিম উদ্দিন, ডবিøউ বিবি ট্রাষ্টের আতিকুর রহমান প্রমূখ।

বক্তারা বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে শর্তসাপেক্ষে সীমিত পরিসরে নিদির্ষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লার চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের মে মাসের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লার চলাচলকারী প্রতি কিলোমিটারের সর্বোচ্চ ভাড়া ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। করোনাকালীন সময়ে ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে তা ২ টাকা ২৭ পয়সা নির্ধারিত হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে বাস ও মিনি বাসের চলাচলের ক্ষেত্রে ২০১৬ সালের প্রজ্ঞাপন অনুসারে ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং চট্রগ্রামে ১ টাকা ৬০ পয়সা। করোনাকালীন সময়ে বাসভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ায় এবং তা যথাক্রমে ২ টাকা ৭২ পয়সা এবং ২ টাকা ৫৬ পয়সা হয়েছে। ভাড়া বাড়ানোর সময় ভোক্তা ও নাগরিক অধিকার সংগঠনগুলো আপত্তি করেছিল। করোনাকালীন সময়ে পৃথিবীর কোথাও গণপরিবহণে যাত্রীভাড়া বাড়ানো হয়নি।’

বক্তারা জানান, গণপরিবহন করোনাকালীন সময়ে ৬৬ দিন বন্ধের পর চালু হওয়াতে আবারও দেখা দিয়েছে নৈরাজ্য। ভাড়া ডাবল, উপেক্ষিত যাত্রী সুরক্ষা, ১১ দফা শর্ত ভঙ্গ করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলছে বাস চালক, হেলপার ও যাত্রী। করোনাকালীন সময়ে মানুষের হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে দৈনন্দিন খরচ মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে নিত্যযাত্রীরা। যেমন কলাবাগান থেকে প্রেসক্লাবের দুরত্ব ৫.৬ কি:মি। এই দুরত্বে বাসভাড়া হওয়া উচিৎ ৭ টাকার মতো কিন্তু করোনাকালে এই ভাড়া ৩০ টাকার মতো নিচ্ছে। প্রতিবাদ করেও সুফল মিলছে না। অন্যদিকে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহনের কারণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

সম্প্রতি বিআরটিএ বাস মালিক-শ্রমিকদের সাথে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আগামী ৩১ আগস্ট পর গণপরিবহনে আর বর্ধিত ভাড়া নেয়া যাবে না। এই অতিরিক্ত ভাড়া যাতে আদায় করা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন যাত্রী চলাচল করতে পারে সেইদিকে নজর দিতে হবে।

happy wheels 2

Comments