প্রাণবৈচিত্র্য দিবসে শিশুদের গ্রীষ্মকালীন ফুলের মেলা
ঘিওর, মানিকগঞ্জ থেকে সুবীর কুমার সরকার
প্রাণবৈচিত্র্য দিবস উপলক্ষে ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের শোলকুড়া গ্রামের শিশু-কিশোর সংঘের উদ্যোগে গতকাল গ্রীষ্মকালীন ফুলের মেলা শোলকুড়া বটতলায় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গবেষক কৃষক মো. মাসুদ বিশ্বাস, সরুপ, কৃষক সেন্টু মিয়া, এ্যাড. মো. লেবু মিয়া, রবী বিশ^াস এবং এলাকার কৃষাণ-কৃষাণীরা।
অনুষ্ঠানে গবেষক কৃষক মাসুদ বিশ^াস শিশুদের সাথে গ্রীষ্মকালীন ফুল সমূহের সাথে পরিচিত করান ও ফুলের ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন। মেলায় কদম ফুল, হিজল ফুল, জবা ফুল, মটমটিফুল, কৃষ্ণচূড়া, পানা ফুল, মরিচফুল, কুমড়া ফুল, ছুন ফুল, কাগজ ফুল, দোপাটি ফুল, ফটকা ফুল,গোলাপ ফুল, কৃষ্টকলি ফুল, কাঠবেলী ফুল, বেলী ফুল, ঢোলকমলি, দুপুরের ফুল, বুনতামাকের ফুল, সূর্যমূখী, তিলের ফুল, ধূতরা ফুল, ভাঠি ফুল, ধূন্দুল ফুল, ঢেড়শ ফুল, আকুন্দার ফুল ইত্যাদি সাজানো হয়। শিশুরা এই মেলার মাধ্যমে জানতো পারলো ফুল শুধু পূজা ও খাবার হিসেবে ব্যবহার হয় না; ঔষুধ ও মৌমাছির মধু সংগ্রহের কাজেও ব্যবহার হয়।
আলোচনায় প্রবীণ ব্যক্তি সরূপ আলী বলেন, ‘ধূতরা ফুল দিয়ে কবিরাজরা চোখ উঠার চিকিৎসা করে থাকে।’ এ্যাড. মো লেবু মিয়া বলেন, ‘গ্রীস্মকালে যে কত ধরনের ফুল ফুটে তার তালিকা দেখে নিজেও ফুলের নাম জানতে পেরেছি। অনেক ফুলের নাম জানতে পারিনি যা আমাদের রাস্তার ধারে, জমির ধারে এমনি এমনি জন্মায়।
প্রাণবৈচিত্র্য দিবসের ধারণাপত্র পাঠ করেন বারসিক কর্মকর্তা সুবীর কুমার সরকার। ফুলের মেলা শেষে শোলকুড়া বটতলায় বটগাছকে পূজা দেওয়া ও গ্রামীণ সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখতে ভারামি পূজা অনূষ্ঠিত হয়। অনূষ্ঠান শেষে শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।