জাল দড়িতে হালিমা খাতুনের জীবন সংগ্রামের গল্প

সাতক্ষীরা থেকে মুকুন্দ ঘোষ

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের একজন সংগ্রামী নারী হালিমা খাতুন ২৮। পিতামাতার চার সন্তানের মধ্যে একমাত্র আদরের মেয়ে ও তিন ভাইয়ের একমাত্র বোন হালিমা খাতুন। পরিবারে অভাবের কারণে হালিমা খাতুনের স্কুলে যাওয়া হয়নি। হালিমা খাতুনের বেড়ে ওঠা নদীতে মাছ ধরা ও দূরন্তপনার মধ্য দিয়ে। অভাবের কারণে ১২ বছর বয়সে বিয়ে করতে হয় কিন্তু ভাগ্যের কি র্নিমম পরিহাস অল্প কিছু দিনপর স্বামি রেখে চলে যান। হালিমা খাতুন ফিরে আসে বাপের বাড়ি। এক বুক আশা নিয়ে দ্বিতীয় বার আবার বিয়ে করে হালিমা খাতুন। এবারো বেশিদিন সংসার করা হয়নি হালিমা খাতুনের। পারিবারিক অশান্তির কারণে সংসার ছেড়ে চলে আসতে হয়।

এরপর থেকে অনেক কষ্টে চলেন হালিমা খতুনের জীবন। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে নেটজ্ বাংলাদেশ এর অর্থায়নে বারসিক পরিবেশ প্রকল্পের সদস্য হন হালিমা খাতুন। তিনি পরিবেশ প্রকল্প থেকে সহযোগিতা হিসেবে ১২,৩০০ টাকার জাল সেট পান। হালিমা খাতুন জাল সেটটা নিয়ে নদীতে মাছ ধরেন। মাছ ধরার জন্য তিনি সন্ধায় যান আর ফিরে আসে ভোরে। মাছ নিয়ে এসে আবার মাছ বেছে আলাদা করে ফড়িয়ার কাছে বিক্রয় করেন।

এখন মাছ বিক্রি করে নিজের সংসারের  খরচ যোগান যোগাতে পারেন হালিমা খাতুন।  প্রতিদিন প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকার মাছ বিক্রি করতে পারেন তিনি। এভাবেই চলে হালিমা খাতুনের জীবন সংগ্রাম। হালিমা খাতুন মাকে নিয়ে এখন আগের থেকে ভালো আছেন বলে জানান। সহায়তাকে পেয়ে তিনি তাঁর জীবনকে পাল্টাতে চান। এজন্য বারসিক ও নেটজ বাংলাদেশকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আশা করেন এখন থেকে তাঁর সংসারের চাকা সচল হবে এবং ভালোমত জীবনযাপন করতে পারবেন।

হালিমা খাতুনের এখন একটাই স্বপ্ন ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা তৈরী করার। তাহলে সহজে তিনি মাছ ধরতে পারবেন এবং ভালো আয় করে সংসার চালাতে পারবেন।

happy wheels 2

Comments