বটিয়াঘাটার গ্রামীণ বীজ মেলায় স্থানীয় জাতের বীজ প্রদর্শন ও বিনিময়
বটিয়াঘাটা খুলনা থেকে দেব প্রসাদ সরকার
খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার কাতিয়ানাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গতকাল (৬ মে, ২০১৮) তারিখে স্থানীয় কৃষক সংগঠন ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ’র যৌথ আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো স্থানীয় জাতের বীজের গ্রামীণ বীজ মেলা ও বীজ বিনিময় ২০১৮। এই মেলায় ১২টি গ্রামের ৪৯টি দেশী প্রজাতির বীজের স্টলে প্রর্দশিত হয় নানা ধরনের দেশীয় বীজ।
বীজ মেলায় লোকজ এর নির্বাহী পরিচালক দেব প্রসাদ সরকার এর সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইচ-চেয়ারম্যান শ্রীমতি বুলু রায় গাাঙ্গুলী, উপজেলা কৃষি অফিসার রবিউল ইসলাম, গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ মো. হাদি-উজ-জামান হাদী ও ইউপি সদস্য শেখ মো. মোর্শারফ হোসেন। মেলায় ৮২ প্রজাতির স্থানীয় বীজ প্রদর্শন করে ১ম স্থান অধিকার করেন শংকরী সরকার, যুগ্মভাবে ২য় স্থান অধিকার করেন নিভা সরকার ও শ্যামলী মন্ডল, যুগ্মভাবে ৩য় স্থান অধিকার করেন বুলু রানী মন্ডল এবং দিপালী বিশ্বাস।
আনুষ্ঠানে লোকজ এর ২০টি কৃষক সংগঠনের ১০ জন দক্ষ কৃষককে বীজ ব্যাংক গড়ে তোলার জন্য প্রধান অতিথি বীজ পাত্র তুলে দেন। গ্রামীণ কৃষকদের কৃষিকাজের স্বীকৃতি হিসাবে শান্তি লতা মণ্ডল এবং পার্বতী বিশ্বাসকে প্রত্যেকে সম্মাননা ও পাঁচ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
বিশেষ অতিথি কৃষি কর্মকর্তা বলেন, “আমার চাকুরি জীবনে এটি একটি প্রথম ভিন্নধর্মী কৃষি মেলা। যা দেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নারী কৃষাণীরা তাদের কৃষিকাজের আগ্রহ ফিরে পাবে ও অন্যদের উৎসাহিত করার সুযোগ আছে।” এটি আরো বড় পরিসরে জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এ অঞ্চলের নারীদের সংরক্ষণে শত শত প্রজাতির বীজ ভান্ডার দেখে আমরা বিস্মিত।” কৃষির উন্নয়নের জন্য এমন সুন্দর ব্যতীক্রমধর্মী মেলায় মাধ্যমে সারা দেশের কৃষি ক্ষেত্রে দেশীয় বীজ বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধশালী হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।