পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ছানাউল্লার ছুটে চলা
ভাঙ্গুড়া, পাবনা থেকে মো. মনিরুজ্জামান ফারুক
বাড়ির পাশে বিশাল খেলার মাঠ। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই বুট পায়ে ফুটবল নিয়ে খেলার মাঠে হাজির। সতীর্থদের সাথে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে তার খেলাধুলা। এভাবে চলে আসছে বছরের পর বছর। দেশের একজন নামকরা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ছুটে চলছেন বিএম ছানা উল্লাহ । বয়স তার ২৪ বছর। উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। উপজেলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ হাজী জামাউদ্দিন (ডিগ্রী) অর্নাস কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র সে। বাড়ি পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের চৌবাড়িয়া বিশ্বাস পাড়া মহল্লায়। পিতা স্কুল শিক্ষক সেকেন্দার আলী বিশ্বাস। চার ভাইয়ের মধ্যে সে সবার ছোট।
বর্তমানে সে মফস্বল শহর ভাঙ্গুড়ার বড়াল কিশোর ক্রীড়া চক্রের গোলকিপার হয়ে খেলছে। শুধু এলাকায় নয়। আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা ও জেলা শহরের বিভিন্ন টুর্নামেন্টের খেলায় ডাক পড়ছে তার। বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে সেরা গোল রক্ষক হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। পাবনা জেলা দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লীগে ধুব্র-রুদ্র স্পোটিং ক্লাবের হয়ে খেলে দক্ষ ফুটবলারের পরিচয় দিয়েছে। তবে খেলার সুযোগ থাকলেও প্রথম বিভাগের খেলা আজ পর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি।
ছানা উল্লাহ শহরের ঐতিহাসিক বড়ালব্রিজ ফুটবল খেলার মাঠে নিয়মিত অনুশীলন করে আসছে। নানা প্রতিকূলতার মাঝে চলে তার অনুশীলন। দক্ষ একজন কোচের দারুণ অভাব বোধ করে সে। ছানাউল্লাহ জানায়, ফুটবল জগতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত খেলোয়ার জালাল উদ্দিন ঝন্টুকে তিনি কোচ হিসেবে কাছে পেয়েছেন। এছাড়া তার সতীর্থ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতীয় ফুটবল দলের তরুণ খেলোয়ার মিডফিল্ডার ওমর ফারুক তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।
তার সতীর্থদের মধ্যে অনেকেই এখন দেশের নামকরা ফুটবল টিমে খেলছেন। তার স্বপ্ন সেও একদিন পেশাদার ফুটবলার হিসেবে দেশের ক্রীড়া জগতে নিজের অবস্থান গড়ে তুলবেন। সে জানায়,তার প্রিয় খেলোয়ার ব্রাজিলের নেইমার। প্রিয় গোলরক্ষক বাংলাদেশ জাতীয় দলের শহিদুল আলম। উদীয়মান তরুণ এ ফুটবলার বলেন, “ফুটবল নিয়ে আমার যত স্বপ্ন, দেশের বড় ফুটবল আসরে খেলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে চাই।”