প্রতিটি দিনই হোক মা দিবস
মানিকগঞ্জ থেকে মো. নজরুল ইসলাম
আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে জেন্ডার বৈচিত্র্য সুরক্ষায় ও নারী পুরুষের সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে পাছঁপাড়া নারী উন্নয়ন সমিতি ও বারসিক’র আয়োজনে মানিকগঞ্জ সিংগাইর উপজেলাধীন বায়রা ইউনিয়নের পাছঁপাড়া গ্রামে হাজেরা বেগমের বাড়িতে সম্প্রতি সংলাপ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় জুলিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে ‘বিশ্ব মা দিবসের তাৎপর্য্য ও আমাদের করণীয়’ বিষয়ে সূচনা বক্তব্য রাখেন বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়। মা দিবসের সূচনা ও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে মায়ের ভূমিকা বিষয়ে প্রবন্ধ পাঠ করেন বারসিক মাঠ সহায়ক আছিয়া আক্তার, সহায়কের ভূমিকা পালন করেন ইস্মিতা আক্তার। এছাড়াও পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবনের সংগ্রামময় গল্পকথা উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য রাহেলা বেগম, আনজুমান আক্তার প্রমুখ।
মা শাশ্বত্ব, চিরন্তন একটি আশ্রয়ের নাম। ‘মা’ শব্দটি মনে করিয়ে দেয় অকৃত্রিম স্নেহ মমতা আর গভীর ভালোবাসার কথা। মায়ের প্রতি একদিন ভালোবাসা জানানো নয়; প্রতিদিনই ভালোবাসা থাকবে। জন্মদাতা মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা চিরদিনের। সন্তান ও মায়ের বন্ধন শ্বাশত্ব। আমরা সারাদিন যেখানেই থাকি না কেন কোন না কোনভাবে মায়ের কাছেই ফিরে আসতে হয় এবং আসতে হবেই। তাই কৃত্রিমতা দিয়ে নয় হৃদয়ের গহীন থেকে আমরা মা কে ভালোবাসি এই হোক আমাদের প্রত্যয়। মতবিনিময়ে গ্রামীণ নারীরা তাদের সংগ্রামময় জীবনগাঁথা সহভাগিতা করেন সবার সাথে। তারা জানান, শুধু দিবস উপলক্ষে নয়; সারাবছরই যেন মায়ের অবদান স্বীকার করা হয়। প্রতিটি দিনই হোক মা দিবস।
বিশ্ব মা দিবসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমর বাণী ‘এই পৃথিবীতে যা কিছু চির সুন্দর ও কল্যাণকর তার অর্ধেক গড়িয়াছে নর আর অর্ধেক গড়িয়াছে নারী।’ ইংরেজি কবি শেকসপিয়র বলেন, ‘এই পৃথিবী হলো একটি নাট্যমঞ্চ যেখানে প্রত্যেককেই কোন না কোন অভিনয় করতেই হয়। আজকের দুনিয়াতে অভিনয়ের দৌরে নারী সবার আগে। নারীকে মায়ের ভূমিকা থেকে শুরু করে বোন ও স্ত্রীসহ একাধিক অভিনয় করতে হয়।’