প্রচলিত চুলা এবং উন্নত চুলা : আশা-প্রত্যাশার প্রতিফলন
মো. এরশাদ আলী, লেখক ও গবেষক::
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। বেশিরভাগ খাবারই আবার রান্না করে খেতে হয় আর রান্নার জন্য প্রয়োজন হয় চুলার। অঞ্চল ও মানুষের অভ্যস্ততার ভিত্তিতে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থানভেদে চুলার বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। চুলার ধরন অনুযায়ী জ্বালানির ধরণও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: মাটির চুলায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় কাঠ, খড়-কুটো, পাতা, ঘুটে ইত্যাদি। একইভাবে গ্যাসের চুলায় গ্যাস এবং কেরোসিন চুলায় ব্যবহৃত হয় কেরোসিন। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই কৃষিজীবী এবং তাদের প্রযুক্তির ব্যবহার ও সুবিধা সম্পর্কে জানে না। গ্রাম বাংলার আবহমানকাল থেকেই গাছপালার শুকনো কাঠ, পাতা, ঘুটে দিয়ে রান্না করাটা একটি ঐতিহ্যে। যেখানে উন্নত চুলা বা গ্যাসের চুলা ব্যবহার অনেক কম। ঐতিহ্যগতভাবেই বাংলাদেশে মাটির তৈরি চুলা ব্যবহার হয়ে আসছে।
সম্প্রতি বেসরকারী গবেষণা সংস্থা বারসিক (২০১৩-২০১৪) এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশিরভাগ গ্রাম অঞ্চলের জনগোষ্ঠীরই উন্নত চুলার ব্যবহার সম্পর্কে কোন ধারণা নেই বললেই চলে। তবে অনেকেরই ধারণা রয়েছে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণার এক গবেষণায় দেখা গেছে, সনাতনী চুলা ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানি পুড়িয়ে যতটুকু তাপশক্তি পাওয়া যায় তার শতকরা ৫ থেকে ১৫ ভাগ কাজে লাগে বাকি ৮০-৮৫ ভাগ অপচয় হয়ে যায়। তাছাড়া চুলায় সৃষ্ট বিষাক্ত গরম গ্যাস কার্বন মনোঅক্সাইড ভাসমান অদহনকৃত কণা এবং ধোঁয়া ব্যবহারকারীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং তা পরিবেশকে দূষণ করে। নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোতে যারা অনুন্নত চুলায় জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের করে রান্না করে তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যহীনতা এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হলো এই চুলা থেকে নির্গত ধোঁয়া। ডঐঙ, ২০০৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী গৃহস্থিত তরল জ্বালানি থেকে সৃষ্ট ধোয়ার ফলে বিশ্বজুড়ে দুর্বল শ্বাসপ্রস্বাস জনিত সংক্রমণে প্রায় ২১%, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসে প্রতিবন্ধকতাজনিত রোগে ৩৫% এবং ফুসফুসে ক্যান্সারের ফলে ৩% মানুষ মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে ৬৪% মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে। এই দূষণের সাথে অন্যান্য আরো যেসব রোগগুলো ক্রমবর্ধমান সেগুলো হলো: সক্রিয় যক্ষা, ফুসফুসজনিত রোগ, প্রতিকূল গর্ভাবস্থাজনিত ফলাফল জন্মকালীন ওজন স্বল্পতা। এই সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে শুধুমাত্র আগুনজনিত কারণেই প্রতিবছর তিন লাখের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করে। ৫ বছর থেকে ২৯ বছর বয়সী শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে মৃত্যুর প্রধান ১৫টি কারণের মধ্যে একটি হলো আগুনজনিত কারণ।
আগে ফসল কাটার পর নাড়া, খড়-কুটা, গরুর গোবর ইত্যাদি জমিতে ফেলে রাখা হতো এগুলো জমিতে পচে জৈব সারে পরিণত হতো। কিন্তু বর্তমানে জ্বালানির চাহিদা পূরণ করার জন্য গোবর, খড়, কুটো, নাড়া জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার না করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে মাটিতে সারের পরিমাণও কমে যাচ্ছে। ফলে জমি প্রাকৃতিক সার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং জমির উর্বরতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তাই ফসল উৎপদান ব্যাহত হচ্ছে, হচ্ছে পরিবেশ দূষণ।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ উপজেলা শহরে উন্নত চুলার ব্যবহার দেখা গেলেও প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে আশানুরূপ ব্যবহার দেখা যায় না। কারণ তাদের চাহিদার সাথে উন্নত চুলার সাদৃশ্যতা কম। উন্নত চুলা ব্যবহারের ক্ষেত্রে মূলত দক্ষতা ও উপযোগীতার কৌশল জানা না থাকার ফলে এর ব্যবহার দিন দিন কমে যাচ্ছে। বেশিরভাগ বাড়িতেই দেখা যায় উন্নত চুলা ফ্রি বা কম মূল্যে পেয়েছে তাই রেখে দিয়েছে কিন্তু ব্যবহার করে না। তবে উন্নত চুলা তৈরির কৌশল এবং প্রচলিত চুলার কৌশলকে একত্রিত করে যারা নিজেদের মতো করে চুলা তৈরি করেছে সেই সব চুলাগুলো বেশি উপযোগী। নিজে তৈরি করার ফলে কোন সমস্যা দেখা দিলে সেটা কিভাবে মেরামত করতে হবে বা কি করলে ভালো জ্বলবে তারা সেটা জানে। উদাহরণস্বরূপ নাচোল উপজেলার বরেন্দ্রা গ্রামের তাছলিমা বেগম জয়পুরহাটের পাঁচবিবির আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে উন্নত চুলার ছবি ও তৈরির পদ্ধতি জেনে এসেছিলেন। পরবর্তীতে নিজের প্রচলিত চুলার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তার মতো করে উন্নত চুলা স্থাপন করেছেন। এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, প্রতিষ্ঠানের দেওয়া উন্নত চুলার চেয়ে তাছলিমার স্থাপন করা চুলা ভালো। উন্নত চুলার চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে কারণ উন্নত চুলাতে জ্বালানি সাশ্রয় হওয়ার কথা থাকলেও তার জ্বালানি এবং জ্বালানি খরচ দুটোই বেশি হচ্ছে। ফলে গ্রাহকদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে’ এই কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গমারী উপজেলার ব্রাইট গ্রীণ ফাউন্ডেশন এর বিক্রয়কর্মী। কুড়িগ্রাম জেলার ভূরঙ্গামারী উপজেলার উন্নত চুলা নির্মাতা আক্কাছ আলী পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, নাম যখন উন্নত চুলা আর কাঠামোও উন্নত তাই যারা এই চুলা ব্যবহার করেন তারা উন্নত ভেবে এই চুলাকে তুলে রাখেন; নিয়মিত রান্না করে না, এই চুলাকে পাশে রেখে দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত চুলাতেই রান্না করেন। যার কারণে হঠাৎ যখন ব্যবহার বা জ্বালাতে যান তখন চুলা জ্বলতে বা ধরতে চায় না।
উন্নত চুলা ও বন্ধু চুলা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও কোন কোন ক্ষেত্রে এর ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ইতিবাচক বক্তব্য শুনে অনেকেই আগ্রহ নিয়ে এই চুলা ব্যবহার শুরু করেন। তথ্যদাতাদের মতে, উন্নত চুলার ইতিবাচক দিকগুলো হলো- উন্নত চুলা হলো সাধারণ বা সনাতন চুলার উন্নত সংস্করণ। এই চুলার মুখ ও তলার মাঝামাঝি জায়গায় একটি ছাকনী থাকে এবং এর উপর জ্বালানি পোড়ানো হয়। বহনযোগ্য উন্নত চুলার ছাকনীর নীচে দেয়ালের চারপাশে কয়েকটি ছিদ্র থাকে যার মাধ্যমে বাতাস প্রবেশ করে জ্বালানিকে ভালোভাবে পোড়াতে সাহায্য করে। চিমনীবিহীন উন্নত চুলার ঝিকাগুলোর উচ্চতা আধা ইঞ্চি থাকে। চিমনিযুক্ত চুলার ক্ষেত্রে দুইটি মুখের প্রথমটিতে সরাসরি আগুনের তাপে রান্না হয় এবং দ্বিতীয় মুখে প্রথম মুখের সৃষ্ট গরম গ্যাসে রান্না হয়। চুলায় ব্যবহৃত গ্যাস চিমনীর সাহায্যে রান্না ঘরের বাইরে বের হয়ে যায়। জ্বালানি পুড়ে শেষ হলে ছাই চুলার নিচে জমা হয়। রান্না ঘরে ধোঁয়া কালি হয় না ও পরিবেশকে দূষণ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। চিমনীর ঢাকনা থাকায় কার্বন সরাসরি বাতাসে যেতে পারে না।
পারিবারিক রান্নার কাজে ব্যবহার ছাড়াও উন্নত চুলা ছাত্রাবাস, হাসপাতাল, ক্যাম্প, সেনানিবাস, এতিমখানা, হোটেল প্রভৃতি জায়গায় ব্যবহার করা যায়। এছাড়া শিল্প কারখানায়ও এই চুলা ব্যবহার অনেক সাশ্রয়ী। সাধারণ চুলার চাইতে উন্নত চুলায় ৫০ থেকে ৭০ ভাগ জ্বালানি কম খরচ হয়। সাধারণ চুলার জ্বালানি উন্নত চুলায়ও ব্যবহার করা যায়। উন্নত চুলা মাটি দিয়ে অতি সহজেই তৈরি করা যায়। উন্নত চুলা থেকে ধোঁয়া বা কালি কম উৎপন্ন হয়। ফলে রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। ধোঁয়া চিমনীর সাহায্যে বাইরে বের হয়ে যায় ফলে গৃহিণীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং রান্নাঘর গরম হয় না। রান্না করতে কম সময় লাগে। অগ্নি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম থাকে। সর্বোপরি এই চুলা ব্যবহারে বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস হয় এবং তা পরিবেশ দূষণ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গ্রামবংলায় আবহমানকাল থেকে প্রচলিত ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করা বা ঝেড়ে ফেলার মাধ্যমে কোন মৌলিক ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা সম্ভবনা। বরং প্রচলিত ব্যবস্থাকে সম্মান করে এগিয়ে যাওয়া উচিত। স্থানীক বা লোকায়ত জ্ঞানই পৃথিবীকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। তাই যেখানে সুবিধা আছে সেখানে সাধারণ কিছু অসুবিধা থাকবে এটাই স্বাভাবিক
প্রচলিত যে সব চুলায় গ্রামীণ নারীরা অভ্যস্থ তারা বাইরে গিয়ে নতুন চুলাতে অভ্যস্ত হতে পারেনি। যার ফলে গ্রামীণ নারীরা এটাকে গ্রহণ করতে পারেনি। কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গমারী উপজেলার জয়মন্ডপ গ্রামের রওশন আরা বেগম বলেন, এটাকে বন্ধু চুলা বলব নাকি শত্রু চুলা বলব তা ভেবে পাই না। তার মতে, সঠিকভাবে চুলা তৈরি করে দিতে পারে না বলেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। রওশন আরা বেগমের মত অনেক ব্যবহারকারীই বন্ধু বা উন্নত চুলার বেশকিছু সমস্যা, অভিযোগ এবং সমাধানের কথাও বলেন। তারা উন্নত চুলা সম্পর্কে বলেন, উন্নত চুলা ফেঁটে যায়। এ কারণে মাসে ৪ থেকে ৫ বার কাঁদা মাটি দিয়ে চুলার ভেতরের অংশে লেপে দেবার পরামর্শ দেওয়া হয়। উন্নত চুলার প্রধান সমস্যা হলো এর সঠিক স্থাপন পদ্ধতি। বন্ধু বা উন্নত চুলায় দাঁড়িয়ে বা আঁধা বসা অবস্থায় রান্না করতে হয়, যা গ্রামীণ নারীদের জন্য এক ধরনের সমস্যা। ভুরঙ্গামারী উপজেলার নারীরা উল্লেখ্য করেন, বর্তমানে সরবারহকারী প্রতিষ্ঠান যে সব উন্নত চুলা সরবারহ করছে সেগুলো দ্বিমূখী। বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীরা একটি চুলায় রান্না করে অভ্যস্ত। একটি রান্না চুলায় তুলে দিয়ে নারীরা অন্য কাজ করতে অভ্যস্ত। এই চর্চার কারণে একই সঙ্গে দুইটি চুলায় রান্না করা তাদের হয়ে উঠে না। কিন্তু যখন একটি মুখের জ্বালানি দিয়ে একটি চুলায় রান্না করা হয় তখন অন্য চুলার মাধ্যমে মোট তাপের অর্ধেকের একটু কম বাইরে চলে যায়, ফলে রান্না করতে বেশি সময় লাগে। পাইপে ময়লা জমে গেলে সমস্যা দেখা দেয়। তাই মাঝে মাঝে পাইপ পরিষ্কারের পরামর্শ দেওয়া হয়। পরিবারে ব্যবহৃত চুলাগুলো আকারে ছোট হবার কারণে দ্রুত চুলায় ছাঁই ভরে যায় ফলে ভালো জ্বলে না। এই চুলা বড় পরিবারের জন্য উপযোগী নয়। চুলার জ্বালানি প্রবেশ মুখ ছোট হবার কারণে মোটা লাকড়ি দিয়ে রান্না করা যায় না। রান্না করার জন্য একই সমান লাকড়ি লাগে। চর এলাকার জনগোষ্ঠি রান্নার জ্বালানি হিসেবে নদীতে ভেসে আসা খর কূটা, ধানের খর, স্থানীয়ভাবে পাওয়া যায় এমন জ্বালানি ব্যবহার করে থাকে যা উন্নত চুলায় ব্যবহার করা সম্ভব নয়। ভবিষ্যৎ এ চুলার কাঠামোগত দিক পরিবর্তন করে আবার বিক্রয় উপযোগী করা সম্ভব। এই চুলা অতি দরিদ্রের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সব ধরনের রান্না বন্ধু চুলায় বা উন্নত চুলায় করা যায় না যেমন ধান সিদ্ধ, মুড়ি ভাজা যায় না।
স্থানীয় জনগণকে বিশেষ করে স্থানীয় নারীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করলে তারা অন্যদের যেমন শিখাতে পারবে ঠিক তেমনি প্রচলিত চুলার সাথে উন্নত চুলার মিশ্রণ ঘটিয়ে নিজেদের ব্যবহার উপযোগী চুলা তৈরি করতে পারবে। উন্নত চুলার বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর উপজেলার সিপিডি নামক প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, গ্রাহকরা যেসব সমস্যার কথা বলেন সেটা সেবা প্রতিষ্ঠানের বা উন্নত চুলার কোন ভুল বা সমস্যা না। গ্রাহকদের উন্নত চুলা ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা না থাকার ফলাফল এটি। তবে লক্ষ্যনীয় দিক হলো দুই পক্ষের আলোচনার মধ্য দিয়েই সমস্যার সমাধান করা উচিত। জ্বালানির অপচয় রোধ, রান্নাঘর ধোঁয়া ও দূষনমুক্ত রাখতে এবং ব্যবহারকারীর সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ চুলা নিয়ে গবেষণা শুরু করে বিভিন্ন মডেলের উন্নত চুলা উদ্ভাবন করেন। দুঃখজনকভাবে ১৯৯০’র দশকে এই কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে জিআইজেড (জার্মান সরকারের একটি উন্নয়ন সংস্থা) বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে যৌথভাবে উন্নত চুলা কার্যক্রম হাতে নেয় এবং এই চুলাকে আরো কার্যকর এবং সহে জ ব্যবহারযোগ্য করে বাংলাদেশের সর্বত্র পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে।