‘মিডওয়াইফ সবসময় গর্ভবতী মায়েদের ঘরের লোক হয়ে কাজ করবে’
সাতক্ষীরা থেকে বাহলুল করিম
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ‘কমাতে হলে মাতৃমৃত্যু হার মিডওয়াইফ পাশে থাকা একান্ত দরকার’ এই প্রতিপাদ্যে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের আলোচনা ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সাতক্ষীরা নার্সিং ইনস্টিটিউটের হলরুমে সূর্যের হাসি ক্লিনিক, সিএনআরএস ও এসডিএফ এর বাস্তবায়নে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন এবং তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কুদরত-ই-খুদা। এসময় তিনি বলেন, “মিডওয়াইফ যখন একজন মাকে দেখেন তখন মা নিশ্চিত থাকেন যে তার পাশে কেউ না কেউ আছে। প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় ৯০০ জন মিডওয়াইফ প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ফলে মাতৃমৃত্যু হারও আগের তুলনায় অনেক কমেছে। মিডওয়াইফ সব সময় গর্ভবতী মায়েদের পাশে থেকে তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।”
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. এহছেন আরা ও ক্লিনিক্যাল মেন্টর ডা. শাহিনা সুলতানা। এসময় ডা. এহছেন আরা তার বক্তব্যে বলেন, “মিডওয়াইফের প্রধান দায়িত্ব হলো প্রথমে একজন গর্ভবতী মায়ের হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সি চেকআপ করা। চেকআপ অনুযায়ী গর্ভবতী মাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা। ডাক্তার ও মিডওয়াইফ মিলে এভাবে কাজ করলে মাতৃমৃত্যু হার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “এমন এক দিন আসবে যে মিডওয়াইফ গর্ভবতী মায়েদের সমস্যা খুঁজে বের করবে ও দ্রæত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে। বিপদে-আপদে মিডওয়াইফ সবসময় গর্ভবতী মায়েদের ঘরের লোক হয়ে কাজ করবে।”
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ মঞ্জু দেবনাথ ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপারভাইজার সেলিনা আক্তার।
আলোচনায় অংশ নেন, সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানবিদ সুদেব কুমার দে, জেলা পাবলিক হেলথ নার্স শেফালী সরকার, সিভিল সার্জন অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের মিডওয়াইফ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আলোচনার শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি সিভিল সার্জন অফিস থেকে বের হয়ে সদর হাসপাতলের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নার্সিং ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। সভা পরিচালনা করেন, জুনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা অফিসার মোছা. শাহীনুর খাতুন।