পশুপাখি রক্ষা করা আমাগোর দায়িত্ব
সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে শারমিন আক্তার
মানুষকে ভালোভাবে বাঁচতে হলে প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। ভালোবাসতে হবে প্রকৃতির সকল প্রাণকে। এ উপলব্ধি থেকে গতকাল বিশ্ব প্রাণবৈচিত্র্য দিবস পালন করেছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোলাই কালিগঙ্গা কৃষক কৃষাণি সংগঠন। তাছাড়া সংগঠনের উদ্যোগের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বেসরকারী গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান বারসিক।
অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক নারী পুরুষসহ উপস্থিত ছিলেন নয়াবাড়ি গ্রামের প্রকৃতি প্রেমিক কৃষক ইব্রাহিম মিয়া, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিরোদ সাহা ও বারসিক’র কর্মকর্তাবৃন্দ। আলোচনা সভায় প্রকৃতি প্রেমিক কৃষক ইব্রাহিম মিয়া মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে যে সব গাছপালা পশুপাখি আছে তারা সকলেই আমাগো উপকার করে। তাই গাছপালা পশুপাখি রক্ষা করা আমাগোর দায়িত্ব।’
অনুষ্ঠানে তিনি সেলিনা বেগমের বাড়িতে ১৫ প্রকার ফলদ, ৬ প্রকার বনজ, ১২ প্রকার ঔষধি এবং ৩০ প্রকার ভেষজ উদ্ভিদসহ মোট ৬৩ প্রকার বৃক্ষকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন এবং এর গুনাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করেন। তাছাড়া কৃষক সংগঠনের সদস্যগণ নিজ নিজ বাড়ি থেকে ১৬ প্রকার বৈচিত্র্যময় গাছ ও উদ্ভিদ এনে রোপণ করেন এবং সেলিনা বেগমের বাড়িকে বৈচিত্র্যময় বৃক্ষে সমৃদ্ধ করেন। সেই সাথে তারা এ বাড়িকে প্রাণবৈচিত্র্য ভরপুর বাড়ি হিসাবে ঘোষণা করেন।
প্রত্যেকজন কৃষকের কথা হলো প্রকৃতির প্রতি সহিংসতা নয়, বরং প্রকৃতিকে রক্ষা করা আমাদের একটা নৈতিক দায়িত্ব। এ বিষয়ে সেলিনা বেগম বলেন, ‘আমরা সকলেই প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। তাই আমাগো বাঁচার জন্য এ সব গাছপালা পশুপাখিরে বাঁচায় রাখতে হবে।’