নারী-পুরুষের মিলিত কাজে সংসার ও সমাজে শান্তি বয়ে আনে
সিংগাইর, মানিকগঞ্জ থেকে মো. নজরুল ইসলাম ও রিনা আক্তার
‘নারী-পুরুষের বৈষম্য রোধ করি, নারীবান্ধব সমাজ গড়ি’ এই স্লোগানকে বিষয় ধরে বারসিক মানিকগঞ্জ সিংগাইর অঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা রোধ ও নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।
তারই ধারবাহিকতায় গত ২৮ অক্টোবর মানিকগঞ্জ সিংগাইর অঞ্চলে ফোর্ড নগরে আলোর দিশারী কিশোরী ক্লাব ও অঙ্কুর কিশোরী ক্লাবের আয়োজনে অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা বিনিময় সফরটি আয়োজন করা হয় নারী উদ্যোক্তা ও উন্নয়ন কাজে নারীর ক্ষমতায়নের স্বীকৃতি ও সফল কাজকে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে।
অনুষ্ঠানে সালেহা বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড সিদ্দিক আহমেদ। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ সনেট, নারী উদ্যোক্তা শেফালী বেগম, হাসনা আক্তার, কৃষক ইব্রাহিম মিয়া, মোসলেম উদ্দিন মোল্লা, আলোর দিশারী কিশোরী ক্লাবের সভাপতি বর্ষা আক্তার ও অঙ্কুর কিশোরী ক্লাবের সম্পাদক ঝুমকা রানী মন্ডল, বারসিক কর্মকর্তা আছিয়া আক্তার প্রমুখ।
আলোচনায় আলোচকরা জানান, ফোর্ডনগর আজ উদাহরণ। মানুষ যেমন চা বাগান দেখতে যায় তেমনি আজকে এখানে সবাই০ ফুল বাগান দেখতে আসছেন। এই প্রসঙ্গে সালেহা বেগম বলেন, ‘আমরা কষ্ট করে ফুল বানাই কিন্তু দাম পাই না। বেপারিরা পানির দামে নিয়ে যায়। ফরিয়া হয়ে খুচরা বিক্রি হয় অধিক দামে। আমাদের কষ্টই সার। ফুল চাষে খরচ অনেক। আমরা আজ আমরা দিশেহারা। সরকার আমাদের সহজ শর্তে ঋণ দেয় না বিধায় আমরা এনজিও ঋণ নিয়ে কাজ করি। আমাদের বিপদ চারদিকে।’
হাসনা বেগম বলেন, ‘সমস্যার কথা কেউ শুনে না তাই বলিও না। নিজেদের কাজ নিজেরা করি, তারপরও কাজ করে আনন্দ পাই। সংসারেও উন্নতি হচ্ছে। সরকারি সহযোগিতা পাইলে নারী পুরুষ মিলে মিশে কাজ করলে আমরা সংসারে আরো উন্নতি ও শান্তিতে বসবাস করতে পারব।’