পানিসাশ্রয়ী বৈচিত্র্যময় মসলা ফসলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত
বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি
গতকাল রাজশাহীর তানোর উপজেলার দুবইল গ্রামে খরা প্রবণ ও পানি সংকটাপন্ন বরেন্দ্র অঞ্চলের জন্য কম পানিনির্ভর ও পানি সাশ্রয়ী বৈচিত্র্যময় মসলা ফসলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক এবং বরেন্দ্র বীজ ব্যাংক’র যৌথ আয়োজনে উক্ত মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2020/03/IMG20200310125732.jpg)
মাঠ দিবসে ১০টি পানি সাশ্রয়ী মসলার ফসলের বিভিন্ন দিকগুলো তুলে ধরা হয়। কৃষক নেতৃত্বে উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বারসিক স্থানীয় দুবইল গ্রামের কৃষক সংগঠনের সদস্যদের আগ্রহের কারণে ১০ প্রকার মসলা জাতীয় বীজ বিনিময়ে সহযোগিতা করে। পরিচালনাকারী কৃষক মো. লিয়াকত আলীর পরিচালনায় কালোজিরা, মহুরী, ধনিয়া, গুজি তীল, তিশি, কাউন, ফিরিঙ্গি, রাঁধুনী, জাউন, মেথি মিলে মোট ১০টি জাতের পরীক্ষামূলক চাষ করেন।
মাঠ দিবেসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তানোর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাইফুল্লাহ, বিশেষ অতিথি হিসেব ছিলেন তানোর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু বক্কর, বারসিক’র পরিচালক এবি এম তৌহিদুল আলম, জাতীয় কৃষি পদকপ্রাপ্ত নুর মোহাম্মদ, বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অফিসার (কৃষি) অমৃত কুমার সরকারসহ এলাকার প্রায় ৭০ এর অধিক কৃষক ও কৃষাণী। মাঠ দিবসে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পরিবেশ পদকপ্রাপ্ত কৃষক ইউসুফ আলী মোল্লা।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2020/03/IMG20200310131902.jpg)
প্রধান অতিথি তানোর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাইফুল্লাহ বলেন, ‘দিনে দিনে যে হারে বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূ-গর্ভস্থ পানি নীচের দিকে নেমে আসছে এতে করে আমাদের আরো সংকট দেখা দিবে। পানিনির্ভর অতিরিক্ত চাষাবাদের কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের যে কম পানিনির্ভর এবং পানি সাশ্রয়ী ফসলের মাঠ দিবস করা হলো তা সত্যিই এই অঞ্চলের জন্য উপযোগী একটি বিষয়।’ তিনি আগামীতে সকল কৃষকদের এই মসলা ফসলের চাষের পরামর্শ দেন।
![](https://barciknews.com/wp-content/uploads/2020/03/IMG20200310123841.jpg)
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু বক্কর বলেন, ‘আমাদের আগামীর প্রজন্ম এবং পরিবেশকে বাঁচাতেই কম পানিনির্ভর ফসলের চাষ করতে হবে।’ বারসিকের পরিচালক এবিএম তৌহিদুল আলম বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলের পানি নিরাপত্তা এবং পরিবেশ রক্ষায় কম পানিনির্ভর এই ফসলগুলো অনেক বেশি ভূমিকা পালন করতে পারে।’ পরীক্ষণ প্লটের পরিচালনাকারী কৃষক মো. লিয়াকত আলী বলেন, ‘ফসলগুলো অনেক ভালো হয়েছে, এতে পানি দেওয়া লাগেনি, সার কম লেগেছে, ফলনও ভালো হয়েছে।’